চোট কাটিয়ে আইপিএলে ফিরলেও রান পাচ্ছিলেন না সূর্যকুমার যাদব। তাই কিছুটা রয়েসয়ে ব্যাট চালিয়ে ফর্মে ফেরাটাকেই যুতসই মনে হয়েছে তার। সেই ভাবনার কারণেই হয়তো অতি আগ্রাসী রূপে দেখা যায়নি সূর্যকে। তবে ফিফটির পর আগ্রাসী হওয়া কেবল শুরু করেছিলেন। উত্তাপ ছাড়াচ্ছিল সূর্যের ব্যাট। তবে সেই উত্তাপ মিলিয়ে গেছে ৫৩ বলে ৭৮ রান করেই। আর তাতে শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল দলটির বড় সংগ্রহের ভিত পাওয়া নিয়ে। তবে সেই শঙ্কা দূর হয়েছে তিলক ভার্মার কল্যাণে। পাঞ্জাব কিংসকে ১৯৩ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

মোল্লানপুরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ঈশান কিষাণ দ্রুত ফিরলেও শুরুটা নেহায়েত মন্দ হয়নি মুম্বাইয়ের। সূর্যকে নিয়ে শুরুর ধাক্কাটা বেশ ভালোভাবেই সামলে নিয়েছিলেন অভিজ্ঞ রোহিত শর্মা। দু’জনে মিলে পাওয়ার প্লেতে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে জামা করেছিলেন ৫৪ রান। তাতে মিলছিল বড় সংগ্রহের আভাস। তবে সেই আভাস পরে সময়ের সঙ্গে কেবলই মিলিয়ে গিয়েছে।

২৫ বলে ৩৬ রান করে রোহিত ফিরলে তিলক ভার্মাকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টানছিলেন সূর্য। তবে সেই টানার মধ্যে ছিল না যথেষ্ট গতি। একটা সময় গতি বাড়িয়েছিলেন বটে। তবে সেখানে হ্রাস টেনে ধরে স্যাম কুরান। ৩ ছক্কা ও ৭ চারে ৫৩ বলে ৭৮ রান করে সাজঘরের পথ ধরতে হয় সূর্যকে।

দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেওয়ার দায়িত্বটা বর্তায় অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ও তিলকের কাঁধে। তবে সেই দায়িত্বটা নিতে পারেননি হার্দিক। তিলক শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেলেও হার্দিক ফিরেছেন ৬ বলে ১০ রান করে। শেষ দিকে অবশ্য ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়েছেন টিম ডেভিড। ৬ বলে করেছেন ১৪ রান। যার কারণে মুম্বাইয়ের সংগ্রহটাও পেয়েছে শক্ত ভিত। তিলকের ১৮ বলে ৩৪ রানের সুবাদে মুম্বাইয়ের ইনিংস থেমেছে ৭ উইকেটে ১৯২ রানে।