মাঠে-মাঠের বাইরে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন মুশফিক

মাঠে-মাঠের বাইরে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন মুশফিক

মাঠে হোক বা মাঠের বাইরে, মুশফিকুর রহিমের নিবেদনের জুড়ি মেলা ভার। তার আত্মনিবেদন, একাগ্রতা, পরিশ্রম এবং অধ্যবসায় যেন দৃষ্টান্তই হয়ে আছে দেশের ক্রিকেটে। সে নিবেদনের আরও একটা দৃষ্টান্ত দেখা গেল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। 

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ মিস করেছেন। লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে কিপিং করতে গিয়ে আঙুলে আঘাত পান মুশফিক। পরে সেই ব্যাথা নিয়ে ব্যাটিংও করেছেন। একদিন পর স্ক্যান করলে জানা যায়, আঙুলে চিড় ধরেছিলো। মাঠের বাইরে ছিলেন চার সপ্তাহ।

এরপর যখন পুরো দেশ ব্যস্ত ঈদুল ফিতরের আনন্দে, মুশফিক তখন চোট থেকে ফেরার অপেক্ষায়। ঠিক সেই মুহূর্তে বাড়িতে গিয়েও থেমে ছিলেন না তিনি। চোট থেকে সেরে উঠে অনুশীলনও শুরু করে দিয়েছিলেন বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে। 

চোট নিয়ে মাঠের বাইরে যাচ্ছেন যখন, তখন তিনি ছিলেন দারুণ ছন্দে। চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরলেন যখন, তখন যেন শুরু করলেন সেখান থেকেই।

আবাহনীর বিপক্ষে করলেন ১০৫ বলে ১১১ রান। গাজী টায়ার্স ক্রিকেট অ্যাকাডেমির বিপক্ষে খেললেন ৬৯ বলে ৭১ রানের ইনিংস৷ এরপর আবাহনীর বিপক্ষে আজ সুপার লিগে করলেন ৬৫ বলে ৪৪। যেখানে শেষ, সেখান থেকেই শুরু না বলে কি আর উপায় আছে? 

এই যে চোটের আগে পরে অভিন্ন পারফর্ম্যান্স, এটা কি অভিজ্ঞতার কারণে নাকি অন্যকিছু? তার জবাবে মুশফিক বললেন, ‘এটাই তো আমাদের কাজ। একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে যেখানে শেষ করবেন, সেখান থেকেই শুরু করতে পারার জন্য কাজ করাটাই তো কর্তব্য। ক্রিকেট খেলছি ১৮-১৯ বছর ধরে, সে অভিজ্ঞতাটা তো আছে যে কীভাবে যেখানে শেষ করেছিলাম, সেখান থেকেই শুরু করতে পারি… প্রথম ম্যাচ থেকে হয়েছে, এ কারণে আমরা খুশি, আলহামদুলিল্লাহ।’

শুধু তাই নয়, ইনজুরির কারণে যখন দলের সাথে ছিলেন না তখনও একপ্রকার ডিপিএলের ডিউটি করেছিলেন মুশফিক। কীভাবে সেটা? মুশফিকের ভাষ্য, ‘এখন তো ইউটিউবে খেলা দেখা যায়, যতটুকু সময় পেয়েছি খেলা দেখেছি। খেলার আগে-পরে আমার স্যার, তামিমের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। যারা আমাদের তরুণ খেলোয়াড়, তাদেরও টেক্সট দিয়েছি আমরা, তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল।’

এই যে মাঠে, মাঠের বাইরে দল অন্তঃপ্রাণ স্বত্বা তিনি, এটাই তো আর সবার চেয়ে আলাদা করে দেয় তাকে। সে কারণেই তো দেশের ক্রিকেটে আদর্শ একজন হয়ে উঠেছেন মুশফিক!

সম্পর্কিত খবর