চারে চার ভারত, বাংলাদেশ শূন্য

চারে চার ভারত, বাংলাদেশ শূন্য

ভারতের মেয়েদের বিপক্ষে প্রথম তিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচের কোনোটিতেই ১২০ রান করতে পারেনি বাংলাদেশ। সেই তাদের সামনেই যখন ১৪ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৫ রানের; তখন ম্যাচটা হাতছাড়া হয়ে যায় ওখানেই। এরপর বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য লক্ষ্যটা হয়ে দাঁড়ায় কেবলই ব্যবধান কমানোর। সেই ব্যবধানটাও ঠিকঠাক কমাতে পারেনি বাংলাদেশ। সিরিজে ঘুরে দাঁড়াতে দলে চারটি পরিবর্তন এনেও শেষ পর্যন্ত জ্যোতির দলকে হারতে হয়েছে ৫৬ রানের বিশাল ব্যবধানে।

বোলিংয়েই ম্যাচটা হাতছাড়া করে ফেলে বাংলাদেশ। এরপরও ওভার কমে যাওয়ায় আগ্রাসী হওয়ার সুযোগ ছিল ব্যাটারদের। তবে সেটি চোখে পড়েনি। ওভার প্রতি যেখানে ৯ এর কাছাকাছি রান করতে হতো সেখানে শুরু থেকেই ধুঁকেছে বাংলাদেশি ব্যাটাররা। ভারতীয় বোলারদের চ্যালেঞ্জ জানানো দূরে থাক নিজেরাই উল্টো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। ধসে পড়েছে তাসের ঘরের মতো। দলীয় সর্বোচ্চ ২১ রান করা ওপেনার দিলার খেলেছেন ২৫ বল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ রান করা আরেক ব্যাটার রুবিয়া হায়দার এই রান করেছেন ১৭ বল খেলে। ফলটা এই দু’জনের বল খাওয়া দেখলেই অনুমান করা যায়। বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত তুলতে পেরেছে ৬৮ রান। ম্যাচ হেরেছে ৫৬ রানের ব্যবধানে।

অথচ এদিন, বৃষ্টি হতে পারে এমন সম্ভাবনায় শুরু থেকেই দারুণ ক্রিকেট খেলেছে ভারত। স্বাগতিক বোলারদের ওপর চড়াও হয় সফরকারী ব্যাটাররা। যাতে ম্যাচের পরিধি কমে আসলেও স্কোরবোর্ডে পুঁজিটা শক্তই থাকে। এমন লক্ষ্যে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৫.৫ ওভারে ২ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৪৮ রান জমা করে ভারত।

এরপর বৃষ্টিতে ম্যাচের পরিধি ১৪ ওভারে নেমে আসলে শেষ ৮.১ ওভারে ব্যাট হাতে ৭৫ রান জমা করে ভারত। তাতে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ১২২ রান হয় ভারতের। তবে সেটা বৃষ্টির কারণে ২ রানে বেড়ে বাংলাদেশের সামনে দাঁড়ায় ১২৫ রানের লক্ষ্য।

অথচ এদিন আগ্রাসী ওপেনার শেফালি ভার্মাকে ফেরানো গিয়েছিল মাত্র ২ রানেই। তবে সেই সুখ দীর্ঘস্থায়ী হতে দেননি হেমলতা। ১৪ বলে ২২ রান করে সাজঘরে ফেরার আগে গড়ে দিয়ে যান ভিত। সেই ভিতে দাঁড়িয়ে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়ে রানের পাহাড় গড়েছে ভারত। মাঝে স্মৃতির ২২ রানের পর রিচা করে গেছেন ১৫ বলে ২৪ রান। আর অধিনায়ক হরমনপ্রীত করেছেন ২৬ বলে ৩৯ রান। ভারতের সংগ্রহ ১৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১২২।

সম্পর্কিত খবর