অ্যান্টিগায় প্রথম জয়ের খোঁজে অনুশীলনে বাংলাদেশ দল
সুপার এইটে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। যেই ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী ২১ জুন সকাল সাড়ে ৬ টায়। তার আগে বুধবার ম্যাচ ভেন্যু স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। যেখানে মেঘলা আবহাওয়ায় ক্রিকেটারদের বেশ চনমনেই মনে হয়েছে।
এর আগে কিংসটাউনে নেপালকে হারিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করে অ্যান্টিগায় পৌঁছায় বাংলাদেশ দল। এরপর প্রথম দিন বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ দল অনুশীলন করতে না পারলেও বুধবার ক্রিকেটাররা অনুশীলন করেছে। যদিও ব্যাটিং ও বোলিং অনুশীলনের চেয়ে এদিন নজর ছিল ক্রিকেটারদের ফিটনেসের দিকেই বেশি। কেননা, টানা খেলার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। স্বাভাবিকভাবেই তাই শরীরকে ঠিক রাখতে সাধারণ অনুশীলনের দিকেই নজর ছিল বাংলাদেশ দলের।
এর আগে গ্রুপপর্বে চার ম্যাচের মধ্যেই তিনটিতেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ দল। যেখানে নাজমুল শান্তর দল হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও নেপালকে। বাংলাদেশের একমাত্র হার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। যেখানে ৪ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া গ্রুপপর্বের কোনো ম্যাচেই হারেনি।
অ্যান্টিগায় অবশ্য এর আগে কখনোই টি-টোয়েন্টি খেলেনি বাংলাদেশ। তবে গত ২০২২ সালেই এই মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। যদিও সেই টেস্টে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হেরেছিল ৭ উইকেটের ব্যবধানে। এই মাঠে দুটি ওয়ানডেও খেলেছে বাংলাদেশ। যেখানে একটিতে আবার বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া। ২০০৭ বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১০ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ। এই মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও ৯ উইকেটে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তবে এবার গল্পটা পাল্টে দিতে চায় বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে সেমিফাইনালের পথে এগিয়ে যেতে চায় দলটি।
এই মাঠে এখন পর্যন্ত দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ ১৯০। যেখানে বাহামাসের বিপক্ষে করেছিল কানাডা। তাছাড়া এই মাঠে লো স্কোরিং ম্যাচের সংখ্যায় বেশি। তবে এবারের বিশ্বকাপের পরিসংখ্যান বলছে ভিন্ন কথা।
এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত চারটি ম্যাচ হয়েছে এই মাঠ। যেখানে প্রথম ম্যাচে ওমানকে ১৫০ রানে থামিয়ে ৪১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বড় জয় তুলেছিল স্কটল্যান্ড। এই মাঠে নামিবিয়াকে গ্রুপপর্বে ৭২ রানে গুড়িয়ে দিয়ে মাত্র ৫.৪ ওভারে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
এই মাঠেই ওমানকে ৪৭ রানে আটকে দিয়ে মাত্র ১৯ বলে জয় তুলেছিল ইংল্যান্ড। গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে নামিবিয়াকে বৃষ্টি আইনে হারিয়ে এই মাঠেই সুপার এইট নিশ্চিত করেছিল ইংল্যান্ড। অর্থাৎ হিসেবটা পরিষ্কার। এখানে বড় সংগ্রহ যেমন গড়া যায়, তেমনি দারুণ বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে অল্প রানে গুঁড়িয়েও দেওয়া যায়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোন পথে হাঁটবে বাংলাদেশ সেটাই এখন দেখার।