বাংলাদেশের বিপ্লবের ‘মাস্টারমাইন্ড’ মুমিনুলও

বাংলাদেশের বিপ্লবের ‘মাস্টারমাইন্ড’ মুমিনুলও

বাংলাদেশের পেস আক্রমণ শেষ অনেক দিন ধরেই আলো ছড়াচ্ছে বেশ করে। সবশেষ টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে এক ইনিংসের সবকটি উইকেট দখলে নিয়ে পেসাররা আলোচনায় এসেছিলেন বেশ।

এবারের ভারত সফরের আগে তাই স্পটলাইটে ছিলেন পেসাররা। ভারতীয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে, কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার থেকে শুরু করে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা কিংবা কোচ গৌতম গম্ভীর, সবাই প্রশংসায় ভাসিয়েছেন, সমীহের দৃষ্টিতে দেখেছেন বাংলাদেশের পেস আক্রমণকে।
আজ শুরুর পাঁচ উইকেট নিয়ে আবারও আলো ছড়িয়েছে বাংলাদেশের পেস আক্রমণ। বিশেষ করে হাসান মাহমুদ ৪ উইকেট নিয়ে একাই নাড়িয়ে দিয়েছেন ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপকে।

ধারাভাষ্য কক্ষে আজ তার প্রশংসা স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে। তামিম ইকবাল প্রশংসার সঙ্গে নিজের একটা অভিজ্ঞতাও জানালেন। আর তাতে বেরিয়ে এল আরও এক নেপথ্য নায়কের নাম। তিনি বাংলাদেশের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক।

বাংলাদেশের পেস বিপ্লবের নেপথ্য নায়ক হিসেবে ওটিস গিবসন, অ্যালান ডোনাল্ড কিংবা বর্তমান কোচ আন্দ্রে অ্যাডামসের নাম নেওয়া হয়। কিন্তু মুমিনুল থেকে যান আড়ালে। অথচ এই বিপ্লবের ‘মাস্টারমাইন্ড’ মুমিনুলও, জানালেন তামিম।

বাংলাদেশে একটা সময় পেস বোলাররা বল করতেন দশেরও কম ওভার। মুমিনুল অধিনায়ক হয়ে এসেই সেই ধারা বদলে দিয়েছিলেন। তার অধীনেই দিনে ১৫-২০ ওভার করে করানোর রীতি চালু হয়।

এই রীতিটা ঘরোয়া ক্রিকেটেও ধরে রাখতে তিনি নিজে কথা বলেছেন ঘরোয়া কোচদের সঙ্গে। তামিম একটা প্রথম শ্রেণির ম্যাচের কথা জানান, যেখানে তিনি মুমিনুলকে জানিয়েছিলেন স্পিনারদের আক্রমণে আনার কথা। মুমিনুল জবাব দিয়েছিলেন, ‘যদি এখানে তারা বল না করে, তাহলে তারা শিখবে না। তাদেরকে শিখতে দিন।’

ঘরোয়া ক্রিকেটে পেসারদের সাফল্যের পেছনে অবদান আছে তার এই উদ্যোগের। যা বাংলাদেশকে এখন সফলতা এনে দিচ্ছে বিশ্বমঞ্চেও। আজ ধারাভাষ্য কক্ষে সে বিষয়টাই সবার সামনে নিয়ে আসেন তামিম।

সম্পর্কিত খবর