‘ফেসবুকে লেখা খুবই সহজ, সাকিব হয়ে ওঠা অমন সহজ কিছু নয়’

‘ফেসবুকে লেখা খুবই সহজ, সাকিব হয়ে ওঠা অমন সহজ কিছু নয়’

সাকিবের সতীর্থ ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে একসঙ্গে খেলেছেন অনেক ম্যাচ। তবে জাতীয় দলে ঠিক যাকে বলে নিয়মিত মুখ, তেমনকিছু কখনোই ছিলেন না আফতাব আহমেদ। মিডলঅর্ডার এই ব্যাটসম্যান ছিলেন বাংলাদেশের ক্ষণজন্মা ক্রিকেটার। আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে তার মেয়াদকাল মাত্র ছয় বছর। নিজের মারমুখি ব্যাটিং স্টাইলের জন্য ভালো সুনাম কুড়িয়েছিলেন আফতাব আহমেদ। হুক, পুল শটে ছিলেন দক্ষ। বাংলাদেশ জাতীয় দলে সর্বশেষ খেলেছিলেন আফতাব ২০১০ সালে। তারপর অবশ্য ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছেন। ক্রিকেটার হিসেবে ক্যারিয়ার শেষে দ্বায়িত্ব নিয়েছেন কোচ হিসেবে।

বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী জীবন কাটাচ্ছেন আফতাব। সেখানেও আছেন ক্রিকেট নিয়েই। ফেসবুকে মাঝে মাঝে ক্রিকেট বিষয়ক স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের উপস্থিতির জানান দেন আফতাব। তেমনই সর্বশেষ এক ক্রিকেট স্ট্যাটাস দিয়েছেন আফতাব তার সতীর্থ সাকিব আল হাসানকে নিয়ে। নিচে রইলো তারই বর্ণনা-

সাকিব বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারলো না, এমনকি বাংলাদেশে নিজের শেষ ম্যাচ খেলে অবসরও নিতে পারলো না। এটা অনেক দুঃখজনক বিষয়। সবমিলিয়ে সে আমাদের ১৯ বছরের মতো ক্রিকেটীয় সেবা দিয়ে গেল। আর এর মাঝে সে সংসদ সদস্য (এমপি) ছিল ৭ মাস। এই সাত মাসের মধ্যে সে ছয় মাসই ছিল দেশের বাইরে। তাহলে কেন আমরা তার ব্যাপারে এতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারলাম? তার রাজনীতিতে জড়ানোর সিদ্ধান্তকে আমি মোটেও সমর্থন করি না। অবশ্যই ওটা ছিল তার অনেক বড় ভুল। কিন্তু আমরা যদি প্রত্যেকে নিজেদের দিকে তাকাই তাহলে দেখা যাবে, এমন অনেক মানুষই জীবনে অনেক ভুল করে থাকে।

আমি আর্ন্তজাতিক ম্যাচ খেলেছি, তাই আমি জানি প্রতিটা ম্যাচ কত পরিশ্রমের। পেছনের ১৯ বছরে শুধু বাংলাদেশের হয়ে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটেই নয়, সাকিব আইপিএল এবং বিশ্বের অন্যান্য অনেক বড় বড় টি- টোয়েন্টি লিগে খেলে এসেছে। বিশ্বের অনেক ক্রিকেটার একসময় বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের শিশু মনে করতো আজ তারাই সাকিবের কাছ থেকে ক্রিকেটের কৌশল শিখে নিচ্ছে। সাকিব আল হাসান আমাদের গর্ব করার মতো অনেক উপলক্ষ এনে দিয়েছে। তাই আমাদেরও তাকে নিয়ে খানিকটা ভিন্ন চিন্তা করা উচিত।

কি বোর্ডে আঙ্গুলের ডগা দিয়ে ফেসবুকে লেখাটা খুবই সহজ কিন্তু একজন সাকিব আল হাসান হয়ে ওঠাটা অমন সহজ কিছু নয়!

সম্পর্কিত খবর