শেষের জন্য সেরাটা জমিয়ে রেখেছিলেন কামিন্স
টুর্নামেন্টের শুরুটা হয়েছিল স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে ৬ উইকেটের হার দিয়ে। শেষটা হলো ফাইনালে সেই একই ভারতের বিপক্ষে, তবে এবার ৬ উইকেটের জয় ছিনিয়ে। বিধাতা যেন এমনটাই লিখে রেখেছিলেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের ভাগ্যে।
এবারের বিশ্বকাপ আসরের প্রথম দুই ম্যাচ পরপর হেরে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া দলকে নিয়ে সমালোচনা। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা এবার সেমিতে জায়গা করে নিতেই হোঁচট খায় কি না সেই বিষয়েও অনেকে শঙ্কা প্রকাশ করেছিল। কিন্তু সবাইকে ভুল প্রমাণ করে নিজেদের যোগ্যতা দেখিয়ে ষষ্ঠবারের মতো সোনালী ট্রফিটি উঁচিয়ে ধরল মাইটি অজিস।
নিজেদের সেরা ফর্মে থাকা ভারতকে গতরাতে ফাইনাল ম্যাচে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে নাস্তানাবুদ করেছে প্যাট কামিন্সের দল। শুরুতে অজি বোলারদের দাপটে যেমন ধ্বসে পড়েছে ভারতের বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইনআপ, ঠিক তেমনি অজি ব্যাটারদের মুখোমুখি নিজেদের বোলিং দক্ষতা কাজে লাগাতে পারেনি ভারতের বোলাররাও। যার ফলস্বরূপ হাতছাড়া হয়ে গেছে রোহিত-কোহলিদের কাঙ্ক্ষিত সেই শিরোপা।
পঞ্চম অজি অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ জেতা প্যাট কামিন্স ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে হাসতে হাসতেই বললেন, ‘সেরাটা শেষের জন্য জমিয়ে রেখেছিলাম।’
আসলেই তো তাই। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই তেমন কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি এই অজি অধিনায়ক। ৯ ম্যাচে পেয়েছেন মাত্র ১০ উইকেট। সেই কামিন্সই সেমিফাইনালে নিয়েছেন ৫১ রানে ৩ উইকেট, ফাইনালে ৩৪ রানে ২ উইকেট। ভারতের বিপক্ষে ১০ ওভার বল করে গতকাল একটিও বাউন্ডারি হজম করেননি তিনি। এবারের বিশ্বকাপে পুরো ১০ ওভার বোলিং করে একটিও বাউন্ডারি হজম না করা বোলার আছেন আটজন, কিন্তু কামিন্সই পেসারদের মধ্যে প্রথম ও একমাত্র।
শুরুতে ধাক্কা খাওয়ার পর দলের প্রতি কামিন্সের প্রত্যাশা ও বার্তা কেমন ছিল এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘বলেছিলাম আমাদেরকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে এবং বিশ্বকাপ জিততে হবে। আর সেটার জন্য অপেক্ষা করার সময় নেই। আমাদের সাহসী হতে হবে, এখান থেকেই সেটা শুরু করতে হবে।’
হয়েছেও তাই, দলের সম্মীলিত উদ্যমে অস্ট্রেলিয়া তুলে নিয়েছে নিজেদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ। অধিনায়ক হিসেবে এটিই কামিন্সের জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি, এমনটাও জানিয়েছেন তিনি।