দলকে বিপদ মুক্ত করেও আক্ষেপ হৃদয়ের

দলকে বিপদ মুক্ত করেও আক্ষেপ হৃদয়ের

ইস্! যদি আর একটা বল পেতাম। তাওহিদ হৃদয় এই আক্ষেপ করতেই পারেন। কেননা, সেঞ্চুরি থেকে যে মাত্র ৪ রান দূরে ছিলেন তিনি। আর আরেকটি বল পেলেই যে ক্যারিয়ারের অভিষেক সেঞ্চুরিটাও পাওয়া হয়ে যেতে পারত তার। আর সেই সেঞ্চুরি মিস করার আক্ষেপ নিয়েই ইনিংস শেষ করেছেন হৃদয়।

সত্যিই কি তাই? সবার আগে দল এই মন্ত্রে বিশ্বাসী হলে, হৃদয়ের হয়তো খুব বেশি আফসোস হবে না; যখন দেখবেন তার কল্যাণেই লঙ্কানদের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়তে পেরেছে বাংলাদেশ। এদিন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০২ বলে ৯৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন হৃদয়। যেখানে হৃদয় একাই ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৫টি। তিনটি এসেছে চারের মার।

অথচ, ক্যারিয়ারের অভিষেক ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৯২ রানের একটা ইনিংস খেলার পর এতদিন এটাই ছিল তার ক্যারিয়ার সেরা। মাঝে পাঁচ বার ফিফটি ছাড়ানো ইনিংস খেললেও সেই রানটাকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি তিনি। দেখা পাননি বহুল কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরির। তাই সেই ক্ষুধাটা ছিলই। তবে তা মিটল আর কই।

তবে দলীয় ৭২ রানের সময় ৪ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দলকে যেভাবে একা হাতে বিপদ মুক্ত করেছেন হৃদয়। তা হৃদয় জয় করেছে দেশের কোটি ক্রিকেট প্রেমীদের। এদিন হৃদয় যখন ব্যাট করতে নামলেন তখন দল বেশ সুবিধাজনক অবস্থানেই ছিল। তবে সেই সুবিধাটা অসুবিধায় রূপ নেই প্রতিপক্ষ দলের বোলার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা স্বাগতিকদের ওপর চেপে বসতে শুরু করলে। তাই হৃদয়ও সময় নিয়েছেন শুরুতে। উইকেটের একপ্রান্ত আগলে রেখে ছোট ছোট জুটি গড়ে দলকে টেনে নিয়ে গেছেন সামনের দিকে।

আর যখন দেখেছেন যা করার করতে হতে তাকেই। তখন হাত খুলে খেলেছেন। চড়াও হয়েছেন লঙ্কান বোলারদের ওপর। তার হাত থেকে রেহাই পায়নি লঙ্কানদের সেরা বোলার হাসারাঙ্গাও। যেই হাসারাঙ্গার বলে ৪ উইকেট খুইয়েছে বাংলাদেশ। সেই হাসারাঙ্গাকেই দুই বার বাউন্ডারি ছাড়া করেছেন হৃদয়। ইনিংসেই শেষ দুই বলেও দুটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন হৃদয়। লাহিরু কুমারাকে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে ইতি টেনেছেন ইনিংসের। যা মন জয় করেছে সবার।

সম্পর্কিত খবর