বাংলাদেশের ক্যাচ মিসের সুযোগ নিয়ে অজিদের রানের পাহাড়
অস্ট্রেলিয়ার অর্ধেক ইনিংস শেষ হয়ে গিয়েছিল সেই ৭৮ রানে। তবে সেখান থেকে দলটা তাদের ইনিংস শেষ করেছে ৫০ ওভারে ২১৩ রান তুলে, তাও আর মাত্র ২ উইকেট খুইয়ে!
একের পর এক ক্যাচ মিসের মিছিলে বাংলাদেশই গড়ে দিয়েছে তাদের রানের পাহাড়ে ওঠার রাস্তাটা! পুরো ইনিংসে চারটা ক্যাচ হাত গলে বেরিয়ে গেছে স্বাগতিকদের। সে ক্যাচগুলো ফসকে না গেলে হয়তো দারুণ কিছুই অপেক্ষা করছিল বাংলাদেশের জন্য। শুরুটা যে হয়েছিল দুর্দান্ত!
বাংলাদেশে এলে নিখাদ স্পিন উইকেট দিয়ে আতিথ্য দেওয়া হবে। এ রেসিপি নতুন কিছু নয়। হলোও তাই। প্রথম ওভার থেকেই বল ঘুরছিল লাট্টুর মতো। তাতে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা হয়েছিল নড়বড়ে। বাংলাদেশ ২৭ রানেই তুলে নেয় অজিদের তিন উইকেট। ফিবি লিচফিল্ড আর এলিস পেরির উইকেট শিকার করেন সুলতানা খাতুন, আর মারুফা আক্তার তুলে নেন অ্যালিসা হিলি।
তালিয়া ম্যাকগ্রা আর বেথ মুনি মিলে সে ধাক্কাটা সামলাতে চেয়েছিলেন জুটি গড়ে, কিন্তু সে চেষ্টাটাকে ২১ রানের বেশি বড় হতে দেননি নাহিদা আক্তার, ফেরান তালিয়াকে। বেথ মুনি পরের জুটিতেও চেষ্টা চালিয়ে গেছেন, অ্যাশ গার্ডনারকে সঙ্গে নিয়ে তুলেছেন ৩০ রান। বেথ মুনিকে শেষমেশ থামান ফাহিমা খাতুন। ৭৮ রান তুলতেই ৫ উইকেট চলে যায় অস্ট্রেলিয়ার। ইনিংসের ওভারও তখন শেষ অর্ধেকের একটু বেশি।
এরপরের ২৪.৫ ওভারে অস্ট্রেলিয়া তুলেছে ১৩৫ রান, তাও মাত্র ২ উইকেট খুইয়ে। তার কারণ বাংলাদেশের লাগামছাড়া বোলিং আর ফিল্ডিং। বাজে ফিল্ডিং আর ক্যাচ মিসই চোখে পড়েছে খুব বাজেভাবে। তার মাসুলও বাংলাদেশ গুণেছে। ১৬ রানেই যেখানে ফিরে যেতে পারতেন অ্যাশ গার্ডনার, সেখানে তিনি করে গেছেন ৩২ রান।
তার চেয়েও বেশি ভোগান্তি উপহার দিয়েছে অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডের ক্যাচ মিস। ২৭ রানে বিদায় নিতে পারতেন তিনি, স্বর্ণা আক্তারের বলে তার ক্যাচ ফেলেন নাহিদা আক্তার। সেই তিনি শেষমেশ অপরাজিত রইলেন ৫৮ রানে। ৪৯তম ওভারে উইকেটের পেছনে অধিনায়ক নিগার সুলতানা ফেলেন অ্যালানা কিংয়ের ক্যাচ। পরের ওভারে ২৯ রান নিয়ে এক লাফে অস্ট্রেলিয়াকে ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যান অ্যালানা, অপরাজিত থাকেন ৪৬ রানে। অস্ট্রেলিয়া ইনিংস শেষ করে ২১৩ রান তুলে।