দুই ম্যাচেই প্রশ্নবিদ্ধ পান্ডিয়ার নেতৃত্ব
২৭৮ রানের পাহাড় সমান লক্ষ্য। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের রেকর্ড এই লক্ষ্য দাঁড় করানোর পর জবাবটা বেশ ভালোই দিচ্ছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। শুরুর ১০ ওভারেই ১৪১ রান তুলে ফেলে তারা। তবে শেষ ১০ ওভারে এসে সেই গতি আর ধরে রাখতে পারেনি তারা। এতেই ৩১ রানে হারে হার্দিক পান্ডিয়ার দল। ম্যাচ শেষে মুম্বাইয়ের বোলিংয়ে ছন্নছাড়া বোলিং ছাপিয়ে আলোচনায় পান্ডিয়ার নেতৃত্ব।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই তাণ্ডব চালাতে থাকেন হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। ১২ ওভার শেষ ৩ উইকেটেই ১৭৩ রান তুলে ফেলে তারা। তবে ব্যাটিংয়ে এই ধ্বংসলীলা চলছিল তখন দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বোলার যশপ্রীত বুমরাহকে স্রেফ এক ওভার করিয়েছেন পান্ডিয়া। সেখানে স্রেফ ৫ রান দিয়েছিলেন বুমরাহ। পরের ১৩তম ওভারে এসেও দেন কেবল ৭ রান। বাকি বোলাররা যখন কচুকাটা হতে ব্যস্ত তখন বুমরাহ ছিলেন ‘আনপ্লেএবল’। তাহলে কেন বুমরাহকে এতো পরে বোলিংয়ে আনলেন পান্ডিয়া। এমন সূত্র ধরেই পান্ডিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন হায়দরাবাদের সাবেক অজি কোচ টম মুডি।
ক্রিকেট বিশ্লেষণ বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুডি বলেন, ‘আপনার কাছে যখন এই সংস্করণে বিশ্বের সেরা বোলার (বুমরাহ) থাকে, আপনি তাকে প্রথম ১০ ওভারে মাত্র একটি ওভার করান এবং ১৩তম ওভারে এসে দ্বিতীয়বার বলে ডাকেন, তখন এটা অবিশ্বাস্য। খেলা তো পুরোপুরি সে সময়েই শেষ।’
আগের ম্যাচেই বল হাতে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন বুমরাহ। ভারতের এই তারকা পেসার পাওয়ার প্লেতে বেশ কার্যকরী। সেই প্রসঙ্গে মুডি আরও বলেন, ‘বুমরার যা সামর্থ্য আছে, তাকে অবশ্যই পাওয়ার প্লেতে দুই ওভার বোলিং করতে হবে। সেখানে উইকেট নিতে হবে এবং সে উইকেটশিকারি।’
নেতৃত্বে এবং বোলিংয়ে টালমাটাল অবস্থার বিপরীতেই রান বন্যা বইয়েছেন অভিষেক-ক্লাসেনরা। বোলিংটা তো ছিল ছন্নছাড়াই, তবে বাকি ব্যাটাররা যখন ২০০ ছুঁইছুঁই স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন পান্ডিয়ার ব্যাটিং স্ট্রাইক রেট সেখানে কেবল ১২০। বল হাতে ৪ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। পরে রান তাড়ায় শেষ ওভারের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ২০ বলে স্রেফ ২৪ রানের ইনিংস খেলেন মুম্বাই অধিনায়ক।