লক্ষ্ণৌয়ের জয়ের নায়ক দুই অচেনা পেসার 

লক্ষ্ণৌয়ের জয়ের নায়ক দুই অচেনা পেসার 

লক্ষ্যটা ২০০ রানের। যা বিশালের কাতারেরই। সেখানে আবার ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ৯৮ রান তুলে ফেলে পাঞ্জাব কিংস। এতে জয় অনেকটা পাঞ্জাবের দখলেই ছিল। তবে শেষ ১০ ওভারে যেন ম্যাচ পাল্টে গেল অন্য দিকে। তরুণ দুই পেসার মায়াঙ্ক যাদব ও মহসিন খানের পেস তোপে নাকাল পাঞ্জাবের বাঘা বাঘা সব ব্যাটার। যার মধ্যে মায়াঙ্কের এটিই আইপিএলের অভিষেক ম্যাচ। সেখানেই গুরুত্বপূর্ণ তিন উইকেট তুলে জয়ের নায়ক বনে গেলেন এই ডানহাতি পেসার। শেষ ৬০ বলে ৮০ রান তুলতে সক্ষম হয় শিখর ধাওয়ানের দল। এতে ২১ রানের জয় পায় লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। 

লক্ষ্ণৌয়ের মাঠে এদিন টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিকরা। এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৯৯ রান তোলে সুপার জায়ান্টরা। 

এতে পুরো ২০০ রানের লক্ষ্যটা ঝোড়ো পায় পাঞ্জাব। দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও জনি বেয়ারস্টোর ব্যাটিং তাণ্ডবে ১০ ওভারেই ৯৮ রান তোলে দলটি। একশ পেরোনো ওপেনিং জুটি এসে থামে দ্বাদশ ওভারে ১০২ রানের মাথায়। ২৯ বলে ৪২ রান করে ফেরেন এই ইংলিশ ব্যাটার। তাকে ফিরিয়েই আইপিএলে নিজের প্রথম উইকেট নেন ২১ বছর বয়সী মায়াঙ্ক। এরপর থেকেই নিয়মিত বিরতিতে শুরু হয় উইকেট হারানো। তবে টিকে ছিলেন অধিনায়ক ধাওয়ান। দলীয় ১৪১ রানের মাথায় এবার তাকে ফেরান মহসিন। ৫০ বলে ৭০ রান করেন পাঞ্জাব অধিনায়ক। এরপর আর কেউই ধরতে পারেননি ম্যাচের হাল। ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৮ রানে থামে পাঞ্জাবের ইনিংস। লক্ষ্ণৌয়ের পক্ষে ৩ উইকেট নেন মায়াঙ্ক। বাকি দুটি উইকেট নেন মহসিন। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও লোকেশ রাহুলে চড়ে শুরুটা ভালো হলেও ৮ বলে ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে লক্ষ্ণৌ। তবুও পাওয়ার প্লেতের রানের গতি ছিল ভালোর কাতারেই। ৬ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে তখন ২ উইকেটে ৫৪ রান। 

রাহুল (১৫), পাডিকালের (৯) পর স্টয়নিসও (১৯) ফেরেন দ্রুতই। তবে ডি ককের ফিফটি পেরোনো দলীয় সর্বোচ্চ ৫৪ রানের ইনিংসের পর পুরান ও ক্রুনালের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ১৯৯ রানের সংগ্রহ পায় লক্ষ্ণৌ। এতে লক্ষ্য দাঁড়ায় পুরো ২০০ রানের। ২১ বলে ৪২ রান করেন পুরান এবং ২২ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন ক্রুনাল। এদিকে পাঞ্জাবের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন স্যাম কারান। দুটি উইকেট নেন আর্শদীপ সিং।

অভিষেকেই পেস তোপে সবার নজর কাড়লেন মায়াঙ্ক। ৪ ওভার বল করে রান দিয়েছেন স্রেফ ২৭, উইকেট তিনটি। এতেই জেতেন ম্যাচসেরার খেতাব। 

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসঃ ১৯৯/৮ (২০ ওভার) (ডি কক ৫৪, ক্রুনাল ৪৩*, পুরান ৪২; স্যাম ৩/২৮, আর্শদীপ ২/৩০)

পাঞ্জাব কিংসঃ ১৭৮/৫ (২০ ওভার) (ধাওয়ান ৭০, বেয়ারস্টো ৪২; মায়াঙ্ক ৩/২৭, মহসিন ২/৩৪)

ফলঃ লক্ষ্ণৌ ২১ রানে জয়ী

ম্যাচসেরাঃ মায়াঙ্ক যাদব 

 

সম্পর্কিত খবর