আবাহনী ধরাছোঁয়ারও বাইরে
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তারা। সেই আবাহনী লিমিটেড এবারের লিগেও চলে যাচ্ছে আর সবার ধরাছোঁয়ারও বাইরে। তুলে নিয়েছে টানা নয়টি জয়। সুপার লিগ তো নিশ্চিত বহু আগেই, এবার আবাহনী হাঁটছে টানা দ্বিতীয় শিরোপার পথে।
আবাহনীর শক্তির মূলে আছে বাংলাদেশ জাতীয় দল কিংবা তার আশেপাশে থাকা খেলোয়াড়রা। সেটা ব্যাটিং লাইন আপ থেকে শুরু করে বোলিং লাইন আপ সবখানেই। সবশেষ ম্যাচের কথাই ধরুন। তানজিম হাসান সাকিব নিয়েছেন পাঁচ উইকেট, তার আগে রূপগঞ্জের ব্যাটারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে গেছেন শরিফুল ইসলাম আর তাসকিন আহমেদ মিলে।
তানজিম সাকিব, শরিফুল এরপর তাসকিন, এই তিনজনকে আক্রমণে রেখে তো এই শ্রীলঙ্কা সিরিজেই ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ! সেই একই ত্রয়ী ডিপিএলেও একজোট হয়েছেন আবাহনী শিবিরে। খালেদ আহমেদ আর নাহিদ রানা বেঞ্চে বসে থাকেন দলটার!
এবার আসুন ব্যাটিংয়ে। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, আফিফ হোসেন, নাইম শেখ, এনামুল হক বিজয়, মাহমুদুল হাসান জয় খেলছেন দলটায়।
সেই দলটা ডিপিএলে উড়ছে, তা তো স্বাভাবিকই। দলের হয়ে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান করেছেন জাকের আলী অনিক, তার পরেই আছেন নাইম শেখ। এনামুল হক বিজয়, তাওহীদ হৃদয়দের নামের পাশেও আছে সেঞ্চুরি। দলে তাই পারফর্মারের অভাব নেই।
তবে এমন চিত্র বাকি দলগুলোর নয়।
জাতীয় দলের ম্যাচ তো আছেই, আরও নানা কারণে খেলোয়াড় কম বেশি সব দলই হারিয়েছে। প্রাইম ব্যাংক আবাহনীর পর সবচেয়ে হাই বাজেটের দল বানিয়েছিল। তবে সেই দলটাও শেষমেশ পূর্ণশক্তির দল নিয়ে নামতে পারছে না। মুশফিকুর রহিম আছেন চোটে, মুস্তাফিজুর রহমান চলে গেছেন আইপিএলে। শেখ জামালের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব আল হাসান, সেই তাকেও দলটা পাচ্ছে না পুরো সময় জুড়ে। মাহমুদউল্লাহ, মেহেদি হাসান মিরাজ আর ইমরুল কায়েসদের নিয়ে গড়া মোহামেডান ভালো পারফর্ম করলেও দুই ম্যাচ হেরে পিছিয়ে পড়েছে অনেকটাই। এমন প্রায় প্রত্যেক দলই কম বেশি ভুগছে।
যার ছাপটা পড়ছে পয়েন্ট টেবিলে। আবাহনী সবার ওপরে আছে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে। লিগে তাদের বাকি দুই ম্যাচ হবে প্রাইম ব্যাংক আর শেখ জামালের বিপক্ষে। সেই দুই ম্যাচে জিতে গেলে তারা আক্ষরিক অর্থেই ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে আর সব দলের।