তাহলে মাতামাতি হবে কী নিয়ে?

তাহলে মাতামাতি হবে কী নিয়ে?

২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তখন আর দুই মাসের দূরত্বে। ঠিক তখন সাকিব আল হাসানকে অধিনায়ক করে, শ্রীধরন শ্রীরামকে টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট বানিয়ে দেয় বিসিবি। এরপর টি-টোয়েন্টি দলেও আসে আমূল পরিবর্তন। 

বিশ্বকাপের ঠিক আগে এত্তোএতো পরিবর্তনের পর বিসিবি সভাপতি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন এর কারণ। যা বলেছিলেন, তার সারাংশ ছিল এই, দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়ার জন্য স্বল্পমেয়াদী ‘সাফল্য’ বিসর্জন দিচ্ছে বিসিবি। তার বক্তব্যটা ছিল, ‘আমাদের টার্গেট এই বিশ্বকাপ না, নেক্সট বিশ্বকাপ।’

সেই ‘নেক্সট’ বিশ্বকাপ মাঠে গড়াতে আর মোটে দুই মাস বাকি। এই সময়ে এসে বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে মাতামাতি করতে নিষেধই করে দিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, যিনি এই কিছু দিন আগেই যিনি দলকে দেখিয়েছিলেন প্রথম বৈশ্বিক শিরোপার স্বপ্ন!

মাস না ঘুরতেই সেই শান্তর কণ্ঠে এখন অন্য সুর! বললেন, ‘প্রতিবছর আমি দেখি বিশ্বকাপের আগে এগুলো নিয়ে অনেক কথা হয়। আমার একটা অনুরোধ থাকবে যে খুব একটা প্রত্যাশা করার দরকার নেই। প্রত্যাশা যা আছে, সেটা মনের ভেতরেই থাকুক। আপনাদের মতো প্লেয়াররাও বড়কিছু করতে চায়।’ 

শান্তর বিশ্বাস ক্রিকেটাররা প্রতিটা ম্যাচেই সামর্থ্যের একশো ভাগেরও বেশি দেবেন। তবুও এসব নিয়ে মাতামাতি হোক সেটা তিনি চান না। গণমাধ্যমের কাছে তার অনুরোধটাও এমন।  

‘আসলে এটা নিয়ে খুব বেশি মাতামাতি আমার ব্যক্তিগতভাবে ভালো লাগে না। ফলাফল হলে আপনি বুঝতেই পারবেন। যে দল খেলবে তারা প্রতি ম্যাচে জয়ের জন্য ১২০ শতাংশ দেবে। এই নিশ্চয়তা আমি দিতে পারি। প্রতিটা ম্যাচ যখন আমরা খেলি, অনেক আশা নিয়েই খেলি। আমরা যেটা পারি সেটাই করার চেষ্টা করি। জয়ের জন্যই খেলব, তবে আপনারা খুব বেশি মাতামাতি করবেন না।’ 

এবার প্রশ্ন চলেই আসে, গণমাধ্যম কিংবা দর্শকরা যদি এসব নিয়ে মাতামাতি নাইবা করেন সেক্ষেত্রে ক্রিকেট নিয়ে মাতামাতি করবেন কোন ইস্যুতে? প্রশ্নটা শান্তর  কাছেই তোলা রইলো।

সম্পর্কিত খবর