‘আইপিএল থেকে মুস্তাফিজের আর কিছু শেখার নেই’
মুস্তাফিজুর রহমান এখন আছেন আইপিএলে। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে পারফর্মও করছেন বেশ। তবে আগামী মাসের শুরুতেই তাকে ফিরে আসতে হবে বাংলাদেশে। তার এনওসি যে আছে ১ মে পর্যন্ত!
আগামী মাসের শুরুতে পাঁচ ম্যাচের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সিরিজটির শুরু থেকেই তাকে স্কোয়াডে চায় বিসিবি। তাই তাকে ফিরতে হবে আইপিএলের মাঝপথে।
মুস্তাফিজের জন্য জিম্বাবুয়ে সিরিজ খেলা ভালো, নাকি আইপিএলে, এ নিয়ে শেষ কিছু দিনে আলাপ কম হয়নি। এ প্রসঙ্গে বিসিবি পরিচালক আকরাম খান তো বলেই ফেলেছিলেন, জিম্বাবুয়ে সিরিজ না খেলে আইপিএলে খেললেই বেশি উপকার হতো মুস্তাফিজের।
তবে তার সে বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস। আজ সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, আইপিএল থেকে মুস্তাফিজের আর কিছু শেখার নেই।
তার ভাষ্য, ‘মুস্তাফিজকে আমরা ১ তারিখ পর্যন্ত খেলতে দিচ্ছি। ২ তারিখ আসবে, ৩ তারিখ থেকে সে অ্যাভেইলেবল। মুস্তাফিজকে আইপিএল খেলে শেখার কিছু নেই। মুস্তাফিজের শেখার প্রসেস ওভার। বরং মুস্তাফিজের থেকে শিখতে পারে আইপিএলে অনেক খেলোয়াড় আছে। এতে বাংলাদেশের কোনো লাভ হবে না।’
কথাটা অবশ্য অমূলকও নয় একেবারে। এই তো দু’দিন আগে কলকাতা নাইট রাইডার্স মুস্তাফিজের একটা ছবি প্রকাশ করেছিল, যেখানে তার সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন চেতন সাকারিয়া। তার সঙ্গে মুস্তাফিজের সখ্যটা রাজস্থান রয়্যালসে খেলার সময় থেকে। চেতন রীতিমতো ‘কোচ’ বলে ডাকেন তাকে।
মুস্তাফিজকে বিসিবি ডেকে পাঠিয়েছে মূলত ফিটনেস ভাবনায়। চেন্নাই তার কাছ থেকে শতভাগ নিংড়ে নিতে চাইবে, সেটাও ফিটনেসের কথা না ভেবেই। বিশ্বকাপের আগে এমন কিছু হতে দিতে চায় না বিসিবি। যে কারণে জিম্বাবুয়ে সিরিজের পুরোটাতেও খেলানোর সম্ভাবনা নেই তাকে।
জালাল বললেন, ‘আমাদের চিন্তার বিষয় হলো মুস্তাফিজের ফিটনেস। তারা (চেন্নাই সুপার কিংস) চাইবে তার থেকে ১০০% নেওয়ার জন্য। তার ফিটনেস নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই, আমাদের আছে। আমরা মুস্তাফিজকে ফেরত আনার কারণ শুধু জিম্বাবুয়ে সিরিজকে খেলানো না, এখানে আনলে আমরা ওয়ার্কলোড দিয়েই ওকে প্ল্যান দেবো। কিন্তু আইপিএলে থাকলে সেই প্ল্যান হবে না।’
বিশ্বকাপে খেলোয়াড়দের অবসাদ নতুন কিছু নয়। ২০২১ বিশ্বকাপে আইপিএল ফেরত সাকিব আল হাসান আর মুস্তাফিজও ছিলেন অবসন্ন। যার প্রভাব পড়েছিল পারফর্ম্যান্সে, মনে করিয়ে দিলেন জালাল। বলেন, ‘২০২১ সালে দুজন খেলোয়াড় আইপিএল খেলে বিশ্বকাপে যোগ দিয়েছিল। তারা বলেছে তারা ক্লান্ত ছিল। আমরা ঐ পরিস্থিতি তৈরি করতে চাই না।’
তেমন কিছুর পুনরাবৃত্তি চায় না বিসিবি। মূলত মুস্তাফিজকে পুরো আইপিএলে খেলতে না দেওয়ার ভাবনাও সে কারণেই। তিনি বলেন, ‘যাওয়ার আগে (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) তাকে ফিজিক্যালি ফিট হতে হবে। ক্লান্ত হয়ে গেলে সে ডেলিভার করবে না। তাহলে আমার কী দরকার? আমার তাকে প্রয়োজন। আমি সতেজ মুস্তাফিজকে চাই, ক্লান্ত মুস্তাফিজ চাই না।’