ইতিহাদ জুজু কাটাতে পারবে রিয়াল?
সান্তিয়াগো বের্নাবিউ একটা ক্লাসিক নিয়েই হাজির হয়েছিল গেল সপ্তায়। গোল হয়েছে, পাল্টা গোল হয়েছে। ম্যাচটা দেখেছে গোল বন্যা। তবে ম্যাচটায় রিয়াল মাদ্রিদ আর ম্যানচেস্টার সিটির কেউই জিততে পারেনি। রেফারি শেষ বাঁশি বাজিয়েছেন ম্যাচটা যখন ৩-৩ সমতায়।
দুই দলের কেউই জেতেনি, কথাটা অবশ্য একেবারে ঠিক নয়। পরিস্থিতি বলছে, বের্নাবিউয়ের ওই ড্র সিটিকে এগিয়ে দিয়েছে একটু হলেও। কেন? কারণটা ‘ইতিহাস’। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে সফল দল রিয়াল, এরপরও!
খেলাটা হবে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে। ইউরোপের আর সব মাঠে ছড়ি ঘোরালেও এই মাঠে তা কখনোই করে দেখাতে পারেনি রিয়াল। খেলেছে ৫ ম্যাচে, হেরেছে ৩ ম্যাচে, দুই ম্যাচ হয়েছে ড্র। এই মাঠে দুই দলের সবশেষ তিন দেখাতেই রিয়াল হেরেছে। সবশেষ লড়াইয়ে তো হেরেছিল ৪-০ গোলের বিশাল ব্যবধানেই!
সিটিও ইতিহাসই গড়তে চায়। গেল মৌসুমে ট্রেবল জিতেছিল দলটা। টানা দুবার কোনো দলই মহাদেশীয় শিরোপা, ঘরোয়া লিগ আর কাপের ত্রিফলা জিততে পারেনি, সে ইতিহাসটাই গড়ে ফেলতে চায় কোচ পেপ গার্দিওলার দল।
বার্নার্দো সিলভা বললেন, ‘আমরা লিগ্যাসি তৈরি করতে চাই। টানা চার প্রিমিয়ার লিগ জিততে চাই, টানা দুই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং টানা দুই ট্রেবলও জিততে চাই। আমরা জানি কাজটা খুব খুব খুবই কঠিন, এরপরও।’
সেটা করতে হলে একটা ইতিহাস ধরে রাখতে হবে তাদের। হেরে যাওয়া চলবে না রিয়ালের কাছে। ইতিহাস মাদ্রিদের বিপক্ষে কথা বলছে। তবে ইতিহাসই যদি সবকিছু হবে, তাহলে আর মাঠের খেলা কেন? রিয়ালের অনুপ্রেরণা নিশ্চয়ই নতুন ইতিহাস গড়ার মিশনই।
সেটা হোক আর নাই হোক, কোচ কার্লো অ্যানচেলত্তি ম্যাচটা জিততে চান। বললেন, ‘ওখানে ম্যাচটা আমাদের জিততে হবে। বিষয়টা পরিষ্কার। যে দল সবচেয়ে কম ভুল করবে, সে দলই সেমিফাইনালে যাবে।’ দলটা রিয়ালই হোক, তা যে অ্যানচেলত্তি চাইবেন, তা একেবারে নিশ্চিত।