আবাহনীর কাছে ১০ উইকেটে হারল সাকিববিহীন শেখ জামাল
চোট থেকে সেরে ওঠার পুনর্বাসন, ছুটি সব মিলিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) এবারের আসরের খুব একটা দেখা মেলেনি সাকিব আল হাসানের। খেলেছেন কেবল তিন ম্যাচে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের (বৃহস্পতিবার) ম্যাচে তাকে ছাড়াই মাঠে নামে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে এই ম্যাচটি দুই ইনিংস মিলিয়ে শেষ হয়েছে স্রেফ ৩৩ ওভারেই। সেখানে শেখ জামালকে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে আবাহনী। এই জয়ে আসরে ১১ ম্যাচের ১১টিতেই জিতল আকাশী-হলুদের দলটি।
লড়াইটি ছিল পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই দলের। এর মধ্যে অপরাজিত আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচটি মোটেও সহজ ছিল না শেখ জামালের জন্য। তবে ম্যাচটি হলো পুরোদস্তুর একপাক্ষিক। ৮৯ রানের মামুলি লক্ষ্য একাদশ ওভারেই তুলে নেয় আবাহনী। এতে শীর্ষেই থাকল তারা, ১১ ম্যাচে ৮ জয়ে শেখ জামালের অবস্থানও দুইয়েই।
মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে ম্যাচটিতে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ২২ ওভার ৪ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে স্রেফ ৮৮ রানের সংগ্রহ পায় শেখ জামাল।
সহজ এই লক্ষ্য তাড়ায় কোনো ধরণের ধাক্কার মুখেই পড়তে হয়নি নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে। টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট করতে ১০ ওভার ২ বলেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আবাহনী। সেখানে ৪০ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন মোহাম্মদ নাইম। এদিকে ২২ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয়।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে আবাহনীর পেসার ত্রয়ী শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিবের তোপে নাকাল শেখ জামালের ব্যাটাররা। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে সাজঘরে পাড়ি জমিয়েছেন দলটির ব্যাটাররা। ওপেনার সৈকত আলী ছাড়া কেউই পেরোতে পারেননি ২০ রানের গণ্ডি। দলীয় সর্বোচ্চ ২৩ রানের ইনিংস খেলেন সৈকত। এদিকে আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নিয়েছেন শরিফুল এবং জিতেছেন ম্যাচসেরার খেতাবও। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন ও তানভীর।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব: ৮৮ (২২.৪ ওভার) (সৈকত ২৩, ইয়াসির ১৭; শরিফুল ৪/৩৫, তাসকিন ২/১৬)
আবাহনী লিমিটেড: ৯১/০ (১০.২ ওভার) (নাইম ৫৩*, বিজয় ৩৭*)
ফল: আবাহনী ১০ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: শরিফুল ইসলাম