পাত্তাই পেল না বাংলাদেশ, সিরিজ জয় ভারতের
সিরিজে হার এড়ানোর ম্যাচ বাংলাদেশের। এমন ম্যাচে ভারতকে মাত্র ১১৮ রানের টার্গেট দিয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। এক অর্থে ম্যাচটা শেষ হয়ে গিয়েছিল ওখানেই। এরপরও বোলারদের কাছ থেকে একটা প্রত্যাশা তো ছিলই। যদি মারুফা-রাবেয়া-নাহিদারা এক হয়ে লড়াই করে ভারতের সিরিজ জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান।
সেটি হতে দিলে তো স্মৃতি মান্ধানা-শেফালি ভার্মারা। বাংলাদেশি বোলারদের কোনো সুযোগই দেননি এই দুই ওপেনার। ছিটকে দেন ম্যাচ থেকে। এরপর যতক্ষণে দু’জনে ফিরেছেন ততক্ষণে ম্যাচের দফারফা। ভারত ম্যাচ জিতে নেয় ৯ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে। আর তাতে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দুই ম্যাচ হাতে রেখেই জিতে যায় সফরকারী ভারত।
বাংলাদেশের দেওয়া ছোট লক্ষ্যে শুরু থেকেই ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলেছে ভারতের দুই ওপেনার স্মৃতি-শেফালি। বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি সিরিজ হিসেবে এখানকার কন্ডিশনে মানিয়ে নিয়ে ব্যাট হাতে চড়াও হয়েছে বাংলাদেশের ওপর। পাওয়ার প্লেতেই তুলেছে ৫৯ রান। ম্যাচটা কার্যত ওখানেই শেষ। এরপরও শেষদিকে বেশ ভালোই লড়াই করেছে বাংলাদেশি বোলাররা। ম্যাচটাকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল শেষ ১৯ তম ওভার পর্যন্ত।
এরপর অবশ্য রানে কিছুটা লাগাম টানা গেছে বটে। তবে তা ছোট লক্ষ্যে ভারতকে আটকে রাখার জন্য মোটেও যথেষ্ট কিছু নয়। শেফালি পেয়ে যান চলতি সিরিজের প্রথম ফিফটি। এরপর অবশ্য ফিরেছেন ৩৮ বলে ৫১ রান করে। তবে যতক্ষণে ফিরিয়েছেন ততক্ষণে ভারতের সিরিজ জয় যে প্রায় নিশ্চিত। এরপর স্মৃতি ফিরেছেন ৪৭ রান করে ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে। তাতে অবশ্য ভারতের জয় থেমে থাকেনি। ভারতকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। ১০ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে ভারত।
অথচ, এদিন গল্পটা বাংলাদেশেরও হতে পারত। বাংলাদেশের দুই ওপেনার সেই ভিতই গড়ে দিয়ে গিয়েছিল বাকি ব্যাটারদের জন্য। দুই ওপেনার দিলারা আক্তার ও মুর্শিদার ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়েই স্কোরবোর্ডে ৪৪ রান জমা করেছিল বাংলাদেশ। এমন দারুণ একটা শুরুর পর স্বাভাবিক ভাবেই বড় সংগ্রহের প্রত্যাশা করেছিল বাংলাদেশ।
তবে সেই গল্পটা পাল্টে যায় দিলারা ফিরলে। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির সঙ্গে সোবহানা মোস্তারি উইকেটে আসলে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। একের পর এক ডট বল খেলতে থাকেন দু’জনে। যার ফলে রান আসেনি খুব একটা। একটা সময় জ্যোতি ৩৬ বলে ২৮ ও মোস্তারি ২০ বলে ১৫ রান করে ফেরেন।
ভাবা হচ্ছিল এবার হয়তো চালিয়ে খেলবে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে জমা করবে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি। তবে মিডল অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে দায়িত্ব নিতে পারেনি লোয়ার অর্ডাররা। দ্রুত উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১১৭ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। যা শেষ পর্যন্ত ভারতের জয়ের পথে বাধা হতে পারেনি।