পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশের অর্জন ৪১
প্রথম ম্যাচটা বাংলাদেশ হেসে-খেলেই জিতেছিল। তবে সে ম্যাচেও দারুণ রোমাঞ্চ উপহার মিলেছিল বৃষ্টির কল্যাণে। মূল নিয়ামক বৃষ্টিই ছিল, তবে ডিএলএস হিসেবের গোলমালে এক পর্যায়ে জানা গিয়েছিল বৃষ্টি না হলে হেরেই বসবে বাংলাদেশ!
বৃষ্টির বাগড়া আজও এল। বিকেল থেকেই আকাশে মেঘের ঘনঘটা ছিল। সে বৃষ্টি আর সম্ভাব্য ডিএলএস-বিভ্রাটের সম্ভাবনাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে আগে থেকেই সতর্ক ছিলেন দুই ওপেনার লিটন দাস আর তানজিদ হাসান তামিম। দুজনেই শুরুটা করলেন বেশ মেরে কেটে। দুজনের ব্যাটে চড়ে পাওয়ারপ্লে শেষে বাংলাদেশ তুলে ফেলেছে ১ উইকেটে ৪১ রান।
জিম্বাবুয়ে তাদের প্রথম দশ ওভারে তুলেছিল মোটে ৩৮ রান। তবে শেষ দিকে জনাথন ক্যাম্পবেল আর ব্রায়ান বেনেটের ৪৩ বলে ৭৩ রানের জুটিতে ভর করে সফরকারীরা তুলে ফেলে ১৩৮ রান। জিততে হলে বাংলাদেশের প্রয়োজন পড়ে ১৩৯ রানের।
বাংলাদেশ শুরুটা করে ইতিবাচক মেজাজে। রিচার্ড এনগারাভার পর ব্লেসিং মুজারাবানির ওভারেও লিটন দাস তোলেন ৯ রান। চতুর্থ ওভারে আইন্সলে এন্ডলভুর ওভার থেকেও আসে ওই ৯। পঞ্চম ওভারে মুজারাবানি ২ রান দিয়ে পরিস্থিতিটা খানিকটা আয়ত্বে আনেন জিম্বাবুয়ের। দুই ওপেনারও একটু চাপে পড়ে যান যেন।
পরের ওভারের প্রথম বলের পর নামে বৃষ্টি। যদিও তার জন্য খেলা বন্ধ ছিল মোটে দুই মিনিট। ফেরার পর দারুণ এক চার মারেন তামিম। তবে তিনি বিদায় নেন পাওয়ারপ্লে শেষের আগেই। এন্ডলভুর পঞ্চম বলে তিনি ক্যাচ দেন ব্রায়ান বেনেটকে। বাংলাদেশ তাতে পাওয়ারপ্লেটা শেষ করে ৭ ছুঁইছুঁই রান রেট নিয়ে।