ফাইনাল হারের রাতে হায়দরাবাদের বিব্রতকর যত রেকর্ড

ফাইনাল হারের রাতে হায়দরাবাদের বিব্রতকর যত রেকর্ড

আইপিএলের এবারের আসরের শুরু থেকেই দাপট দেখানো দলের মধ্যে অন্যতম ছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের নাম। তাদের ব্যাটাররা যেন বিপক্ষ দলের বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করছিল, ছয় ম্যাচেই তাদের দলীয় রান দুশো-এর ঘর। আইপিএলের ইতিহাসের এক ইনিংসে দলীয় সর্বোচ্চ ২৮৭ রানের রেকর্ডটাও গড়েছিল ‘অরেঞ্জ আর্মি’ খ্যাত দলটা।

কিন্তু সেই বিধ্বংসী দলটাই ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে এসে যেন খেই হারিয়ে ফেলল। ট্র্যাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা, যে ওপেনিং জুটি পুরো আইপিএলেই চালিয়েছেন তাণ্ডব, তারাও যেন ব্যাট হাতে নিষ্প্রভ ছিল কলকাতার বোলারদের বিপক্ষে। ফলস্বরূপ ৮ উইকেটের সহজ জয় তুলে নিয়ে নিজেদের তৃতীয় শিরোপাঘরে তুলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।

শুধু হারের দুঃখই নয়, ফাইনাল হারের এই রাতে একের অধিক লজ্জার রেকর্ডও গড়েছে প্যাট কামিন্সের দল।

আইপিএলের ফাইনালে সর্বনিম্ন দলীয় রান

টসে জিতে শুরুতে ব্যাট হাতে নেমে একের পর এক উইকেট হারিয়েছে হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। কলকাতার পেসারদের তোপের মুখে চেন্নাইয়ের মাঠে নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার আগেই দলীয় মাত্র ১১৩ রানে থেমেছে হায়দরাবাদ। আইপিএলের ইতিহাসে এটিই যেকোন দলের সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগে ২০১৩ সালের ফাইনালে মুম্বাইয়ের দেওয়া ১৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২৫ রানেই থেমেছিল চেন্নাইয়ের ইনিংস।

ফাইনালে আগে ব্যাট করা দলের সর্বনিম্ন স্কোর

২০১৭ সালের ফাইনালে প্রথমে ব্যাট হাতে নেমে দলীয় ১২৯ রান করতে সক্ষম হয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। সেই ম্যাচেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২৮ রানে থামে পুনে। ফলস্বরূপ সেই ফাইনালটি এক রানে জিতেছিল রোহিত শর্মার দল। এবার কলকাতার বিপক্ষে ১১৩ রানে অলআউট হয়ে হতাশাজনক নতুন এই কীর্তি গড়ল হায়দরাবাদ।

সবচেয়ে বেশি বল হাতে রেখে বিপক্ষে দলের জয়

১১৩ রানের লক্ষ্য কলকাতার ব্যাটাররা দুটি উইকেট হারিয়ে টপকে গেছেন মাত্র ১০.৩ ওভারেই। অর্থাৎ কলকাতার হাতে তখন বল বাকি ছিল ৫৭টি। আইপিএলের যেকোনো ফাইনালে সবচেয়ে বেশি বল বাকি থাকতে জেতার নতুন রেকর্ড এটি। এর আগে গুজরাট ২০২২ সালের ফাইনালে ১১ বল হাতে রেখেই শিরোপা জিতে নিয়েছিল।

সম্পর্কিত খবর