অজিদের সামনে ভারতের ২০৬ রানের কঠিন চ্যালেঞ্জ 

অজিদের সামনে ভারতের ২০৬ রানের কঠিন চ্যালেঞ্জ 

আসরটা শুরু থেকেই ছিল রান খরার। গ্রপপর্বের পর সুপার এইটেও চলছিল একই অবস্থা। তবে সেমির নিশ্চিতের ম্যাচে ব্যাটে হাতে জ্বলে উঠলেন ভারতীয় ব্যাটাররা। ছন্দে থাকা কামিন্স-স্টার্কদের রানের খাতা বাড়িয়ে রোহিতের ৯২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস, সূর্যকুমারের ৩১ এবং শেষে হার্দিকের ২৭ রানের ক্যামিওতে ২০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়েছে ভারত। 

৪১ বলে ৯২ রানের নান্দনিক ইনিংসে রোহিত ৭টি চার ছাড়া মেরেছেন ৮টি ছক্কা। এতেই গেছেন একাধিক রেকর্ড বনে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম কোনো ব্যাটার হিসেবে দুইশ ছক্কার দারুণ এক এক মাইলফলক ছুঁলেন তিনি। এই ম্যাচে নামার আগে রোহিতের ছক্কা ছিল ১৯৫টি, এখন সেতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০০-এ। এদিকে ভারতীয় আর কোনো ব্যাটার এর আগে এক ইনিংসে মারেননি ৮টি ছক্কা। সেই রেকর্ডও এখন রোহিতের। 

সেন্ট লুসিয়ায় সুপার এইটের গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অজি অধিনায়ক মিচেল মার্শ। সেখানে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। শুরুর থেকেই রান খরা কাটিয়ে আগের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে রানে ফিরেছিলেন বিরাট কোহলই। তবে এদিন আরও একবার হতাশ করল তার ব্যাট। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই রানের খাতা না খুলে পাড়ি জমালেন সাজঘরে। 

তবে শুরু থেকেই ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালাতে থাকেন রোহিত। ১৯ বলেই তুলে ফেলেন ফিফটি। যা এই আসরের দ্রুততম। এদিকে আরেক প্রান্তে কিছুটা বুঝেশুনে খেলতে থাকা রিশাভ পান্তকে অষ্টম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৯৩ রানের মাথায় ফেরান স্টয়নিস। তবে থামানো যাচ্ছিল না রোহিতকে। আশা জাগাচ্ছিলেন আসরের প্রথম সেঞ্চুরির। তবে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ৪ ছক্কা মারা স্টার্কের বলেই শেষমেশ বোল্ড হয়ে ফিরলেন রোহিত। তার ৯২ রানের এই ইনিংস বিশ্বকাপে কোনো ভারতীয় ব্যাটারের করা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১০ বিশ্বকাপে এই সেন্ট লুসিয়াতেই ১০১ রান করেছিলেন সুরেশ রায়না। 

রোহিত ফেরার পর রানের গতি কিছুটা কমলেও সময় নিয়ে তা সামলে নেন মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা। এতেই সূর্যকুমারের ৩১, দুবের ২৮ এবং শেষে এসে ১৭ বলে হার্দিকের ২৭ রানের ক্যামিওতে ৫ উইকেটে ২০৫ রানের বড় সংগ্রহ পায় ভারত। সেখানে অজিদের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন স্টার্ক ও স্টয়নিস। 



সম্পর্কিত খবর