লিড নেওয়াটা কঠিনই মনে হচ্ছে নিউজিল্যান্ডের
মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনে আলোচিত বেশ কিছু বিষয়ই ঘটে গেছে। তামিম ইকবালের অভিষেক হয়েছে ধারাভাষ্যে, মুশফিকুর রহিম অদ্ভুতুড়ে এক আউট হয়েছেন… তবে সব ছাপিয়ে মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে চেনা একটা ব্যাপারও দেখা গেছে আজ। অনুমিতভাবেই স্পিনাররা ছড়ি ঘুরিয়েছেন ব্যাটারদের ওপর।
এতটাই যে দিনে যে ১৫ উইকেট পড়েছে, তার ১৩টাই তুলে নিয়েছেন স্পিনাররা, আর পেসারদের ভাগে গেছে মোটে ১ উইকেট। অবশ্য পেসাররা উইকেট নেবেন কী করে? তাদের যে আক্রমণেই দেখা গেছে মোটে ১১ ওভার! দিনের বাকি ৬৮ ওভারই গেছে স্পিনারদের দখলে।
তবে স্পিনের মাইনফিল্ডে প্রথম দিন শেষে বিপাকে থাকা দলটার নাম নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশকে ১৭২ রানে অলআউট করার পর নিজেরাই যে ৫৫ রান তুলতে খুইয়ে বসেছে ৫ উইকেট!
এ অবস্থা থেকে লিড নেওয়াটাকে বেশ কঠিনই মনে হচ্ছে কিউইদের। মিচেল স্যান্টনার সংবাদ সম্মেলনে এসে যেমন বলে গেলেন, ‘আমরা জানি চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে। আমরা আপাতত জুটি গড়ার কথা আলোচনা করছি। যেই উইকেটে আসুক, ৮০-৯০ হয়তো হবে না, ৩০ রান হলেও হলো। জুটি গড়ে স্কোরটা সমান করতে চাই। আগামী কয়েক দিনে লড়াইটা বেশ করেই হবে। তাতে কোনো সন্দেহ নেই।’
প্রথম দিনেই নেই ১৫ উইকেট। তাতে আরও একবার প্রশ্নের মুখে পড়ে গেছে মিরপুরের উইকেট। তা নিয়ে প্রশ্নটা স্যান্টনারের কাছেও ধেয়ে গেছে। কিউই অলরাউন্ডারের চোখে হোম অ্যাডভান্টেজ নেওয়াটা দোষের কিছু নয় মোটেও।
তার ভাষ্য, ‘বিশ্বের এই অংশে এই ধরনের চ্যালেঞ্জের এলে আপনি মুখোমুখি হবেনই। এখানে স্পিন হয়, সমস্যা নেই। এই ধরনের উইকেটে এসে আমাদের পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়, এটা আমাদের জন্যই ভালো। আমরা নিজেদের মাটিতে খেললে এমন উইকেটই বানাব, যেটা সবুজ, বাউন্স আসে ভালো। আমরা জানি বাংলাদেশ নিজেদের মাঠে কেমন ভালো দল, প্রথম টেস্টে তারা দেখিয়েছে কীভাবে এই ধরনের উইকেটে ভালো খেলতে নয়, নিজেদের কার্যসিদ্ধি করতে হয়।’
নিউজিল্যান্ড আপাতত শিখতে চাইবে সেখান থেকেই। কাল তারও একটা পরীক্ষাই অপেক্ষা করছে সফরকারীদের জন্য।