চোট নিয়েই বোলিং বীরত্ব শামারের 

চোট নিয়েই বোলিং বীরত্ব শামারের 

পায়ের অগ্রভাগে ছিল কিছুটা চোট। তবে ২৭ বছরের খরা কাটাতে এদিন দলের চিকিৎসকও যেন ভরসা রেখেছিলেন এই ২৪ বছর বয়সী তরুণের ওপর। এবং শেষ পর্যন্ত হলোও তাই। ব্যথা নিয়ে মাঠে নামলেন শামার জোসেফ। করলেন আগুন ঝরানো বোলিং। এবং তাতেই পুড়ল অজিদের জয়ের স্বপ্ন।

শামারের বোলিং বীরত্বে অবসান হলো অজি রাজত্বের। ২৭ বছর ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারলো অস্ট্রেলিয়া। ১৯৯৭ সালে কিংবদন্তি কার্টলি অ্যামব্রোসের হাত ধরে এসেছিল সবশেষ টেস্ট জয়। এবার ২০২৪ এসে গ্যাবায় রাজত্ব শামারের। তাতেই ৮ রানের নাটকীয় জয়ে সিরিজ শেষ হলো ১-১ সমতায়। 

ব্রিসবেনে দিবা-রাত্রির এই টেস্টে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু আগে আজ (রোববার) সকালে শামারের অবস্থা যাচাইয়ের পর দলকে ভালো সংবাদ দেননি দলের চিকিৎসক। ব্যাটিংয়ে পাওয়া চোটের ব্যথায় তখনও কাবু শামার। এদিকে অজিরা আছে শক্ত অবস্থানে। জয়ের জন্য শেষ দুই দিন মিলিয়ে দরকার স্রেফ ১৫৬ রানে, হাতে তখনও ৮ উইকেট। কার্যত হাল ছেড়ে দেয়ারই অবস্থা? সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ম্যাচ শেষে অফিশিয়াল ধারাভাষ্যে শামার বলেন, ‘ডাক্তার সকালে আমাকে জিজ্ঞেস করল, আমার কেমন লাগছে। ব্যথাটা তখনও ছিল খুব। তবু সে বলল মাঠে গিয়ে খেলাটা জেতাতে। তার বিশ্বাস ছিল আমার ওপর। আমি সত্যিই তা করতে পেরেছি!’

সেই ব্যথাকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে অবলীলায় স্রেফ ৭১টি বল করেন শামার। তাতেই শেষ পুরো অজি ইনিংস। 

চোটের কারণে আগের দিনের শেষ অংশে বল করেননি শামার। বল করলেন এসে অজিদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯তম ওভারে এসে। সেখানে শুরুর ওভারে দিলেন ১০ রান। তবে পেস তাণ্ডব শুরু পরের ওভার থেকেই। 

এরপর শুরু হলো ‘দুই’য়ের মেলা। দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের দ্বিতীয় ওভারের শেষ দুই বল, সেখানে নেই অজিদের দুই উইকেট। দুজনই বোল্ড। ক্যামেরন গ্রিন ও অভিজ্ঞ ট্রাভিস হেড। ম্যাচ সেখানেই ঘুরে যায় অনেকখানি। পরের ৬ উইকেটের ৫টিও শামারের ঝুলিতে। শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়া স্টিভ স্মিথকে অপরপ্রান্তে রেখে বাকি ব্যাটারদের একে একে সাজঘরের রাস্তা মাপিয়েছেন শামার। দলকে একা হাতে এনে দিয়েছেন ২৭ বছরের সেই কাঙ্ক্ষিত জয়।

সম্পর্কিত খবর