এটাই কি বিশ্বকাপ দল? যা বললেন প্রধান নির্বাচক

এটাই কি বিশ্বকাপ দল? যা বললেন প্রধান নির্বাচক

ভারতের বিপক্ষে হোম সিরিজের দল ঘোষণা হয়ে গেছে। দলে আছে তারুণ্যের ছড়াছড়ি। বিশ্বকাপের বছর চলছে। ভারত সিরিজ দিয়েই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করবে বাংলাদেশ। তবে বিশ্বকাপের দল এটাই নয়। জানালেন বাংলাদেশ নারী দলের প্রধান নির্বাচক সাজ্জাদ আহমেদ শিপন।
বিশ্বকাপের দুটো ভেন্যুই সিলেটে। ভারত সিরিজের প্রত্যেকটা ম্যাচ হবে ওখানেই। সিলেটের মাঠ যেহেতু পেস সহায়ক, সে কারণে স্কোয়াডেও রাখা হয়েছে বাড়তি পেসার। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে যেখানে স্কোয়াডে ছিল দুই পেসারের উপস্থিতি, সেটা থেকে এই সিরিজে তিন পেসার দলে টেনেছে বাংলাদেশ।
মারুফা আক্তার, ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণার সঙ্গে তৃতীয় পেসার হিসেবে দলে ঢুকেছেন হাবিবা ইসলাম পিংকি। প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘সিলেটে স্পোর্টিং উইকেটে খেলব আমরা। আমার মনে হয় পেস বোলিংয়ে সহায়তা করবে। এজন্য আমরা বাড়তি পেস বোলার নিয়েছি একজন। সুমাইয়া আক্তার ব্যাটার ছিলেন, তার জায়গায় আমরা একজন বাড়তি পেসারকে নিয়েছি, হাবিবা ইসলাম পিংকিকে নেওয়া হয়েছে।’
দলে তিন পেসার আছে, ম্যাচে তাদের দুজনকে দুই এন্ড থেকে আক্রমণে আসতে দেখা যাবে কি না, সে প্রশ্নের জবাবে শিপন বলেন, ‘শেষ সিরিজে আপনারা দেখেছেন আমরা দুই পেসার নিয়ে খেলেছি। মারুফা আর তৃষ্ণা খেলেছে। একজন বিকল্প পেসার নিয়ে যাচ্ছি। হয়তোবা আমরা দুই পেসারের ফরমেশনে যাব। দুই পেসার একাদশে নিয়ে খেলা হতে পারে কয়েকটা ম্যাচ।’
দলে পরিবর্তন আছে আরও একটা। ফারজানা আক্তার লিসার জায়গায় দলে ঢুকেছেন রুবয়া হায়দার ঝিলিক। গেল বছর জুনে এমার্জিং এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে চোটে পড়েছিলেন তিনি। তবে দীর্ঘ সে চোট কাটিয়ে তিনি সরাসরি ঢুকে গেছেন দলে। শিপন বলেন, ‘আমাদের ওপেনিং ব্যাটার, ব্যাকআপ উইকেটরক্ষক রুবয়া হায়দার ঝিলিক চোট থেকে ফিরে এসেছে। ও আসছে লিসার জায়গায়। শেষ ও ইমার্জিং কাপে খেলেছে হংকংয়ে। ওখানে ও চোট পেয়েছিল। লং প্রোসেস, অনেক দিন পর ও চোটমুক্ত হয়ে ফিরে এসেছে। সে একজন অটোমেটিক চয়েস।’
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে বিন্দুমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাও গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। ব্যাটিং বোলিংয়ে নিজেদের সে হারানো আত্মবিশ্বাসটা উদ্ধারের জন্য এই সিরিজটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। শিপন বলেন, ‘ভারতের বিপক্ষে সিরিজটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটাররা সংগ্রাম করছে রানে ফেরার জন্য। ভালো রান করতে পারলে, আঁটসাঁট বোলিং করতে পারলে আমাদের আত্মবিশ্বাসটা ফিরে আসবে, অস্ট্রেলিয়া সিরিজে যেটা আমরা হারিয়ে ফেলেছি। তারা আসলেই এক্সট্রা অর্ডিনারি একটা দল, তাদের সাথে কোনোভাবেই আমরা লড়াই করতে পারিনি। আশা আছে ভারতের সাথে আমরা ভালো কমপিট করব।’
এই সিরিজ থেকেই বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাচ্ছে, জানালেন তিনি। কারণ এই সিরিজ থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত আর কোনো ওয়ানডে সিরিজ নেই বাংলাদেশের। নিরবচ্ছিন্নভাবে শুধু কুড়ি ওভারের ক্রিকেটই খেলবে বাংলাদেশ নারী দল।
শিপন বলেন, ‘আমার মনে হয় এই সিরিজ থেকে আমাদের প্রস্তুতিটা শুরু হবে। দল গঠন থেকে শুরু করে আমাদের খেলার প্ল্যানিং আমাদের স্ট্র্যাটেজি, সব শুরু হয়ে যাবে। কারণ এর ভেতরে আমরা টি-টোয়েন্টি ছাড়া অন্য কিছু আর খেলছি না। আমাদের প্ল্যানটা এখান থেকেই শুরু হচ্ছে।’
তবে ঠিক একই কারণে এই দলটাকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল বলতে নারাজ তিনি। তার কথা, ‘বিশ্বকাপ দল কি না, তা বলা যাচ্ছে না। কারণ এর ভেতরে আমাদের খেলা আছে কিছু। এশিয়া কাপ আছে, হোম সিরিজ খেলার প্ল্যান আছে। খেলা আছে কিছু, ওখানে হয়তো কিছু চেঞ্জ আসতে পারে। আর চোট সমস্যাও তো থাকে কিছু।’

সম্পর্কিত খবর