তাসকিনের পর শরিফুলেরও আইপিএল খেলা হলো না যে কারণে
শেষ কিছু দিন ধরেই শরিফুল ইসলাম আছেন ফর্মের তুঙ্গে। তাসকিন আহমেদের সঙ্গে জুটি গড়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশের পেস বোলিং বিভাগের। তাসকিনের সঙ্গে তার মিল আছে আরও একটা জায়গায়। সেটা আইপিএল।
শরিফুল তাসকিন দুজনের কারোই আইপিএল খেলা হয়নি। এখন প্রশ্ন করতে পারেন, বাংলাদেশের আরও অনেকেই তো আইপিএলে খেলতে পারেননি, শরিফুল তাসকিন আলাদা কোথায়! পার্থক্যটা হচ্ছে, তাসকিন আহমেদের কাছে প্রস্তাব এসেছিল আইপিএলের, তবে তাকে যেতে দেয়নি বিসিবি; এবার শরিফুলকেও হাঁটতে হলো একই পথে, কারণ ওই বিসিবিই!
বছরের শুরুতে তাসকিন আহমেদের নাম ছিল আইপিএলের নিলামে। ৭৫ লাখ রুপি ছিল তার ভিত্তিমূল্য। তবে এ সময়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যস্ততার কারণে ছাড়পত্র দেওয়া হবে না তাকে, কথাটা বিসিসিআইকে জানায় বিসিবি। এরপর এ নিয়ে খানিকটা আফসোসই করেছিলেন তাসকিন।
বলেছিলেন, ‘এ নিয়ে তিনবার সুযোগ এসেছে, এবারও মিস হলো। শুধু আইপিএল নয়, বিভিন্ন লিগ থেকেই প্রস্তাব আসে। কিন্তু বোর্ড বিভিন্ন কারণে ছাড়পত্র দিতে চায় না। কারণ, খেলাও থাকে, আবার স্বাস্থ্যগত ব্যাপারও আছে।’
এবার শরিফুল ইসলামের আইপিএল ভাগ্যও ঝুলে গেল ওই একই কারণে। তাসকিনের মতো শরিফুলের এনওসি নিয়ে একেবারে নারাজ ছিল না বিসিবি। তাকে ছাড়পত্র দেওয়ার সম্মতি ছিল, তবে তা ছিল খুব কম সময়ের জন্য। সে কারণে আর তার আইপিএল যাওয়া হয়নি।
আজ আবাহনীর হয়ে ম্যাচশেষে একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শরিফুল বলেন, ‘লখনৌ থেকে মেসেজ দিয়েছিল, তারা আমাকে চাচ্ছিল। কিন্তু এনওসির সময়টা খুবই কম ছিল তার জন্য তারা পরে আর রেসপন্স করেনি। যদি পুরো এনওসিটা দিত বিসিবি তাহলে হয়তো। যেহেতু আমাদের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ রয়েছে সেক্ষেত্রে চিন্তা করে এনওসিটা ওইভাবে চিন্তা করে দেওয়া হয়েছে।’
এবার হয়নি। তবে ভবিষ্যতে কোনো এক সময় আইপিএল খেলার আশা শরিফুলের, ‘ইনশাআল্লাহ ইচ্ছা তো আছে একদিন সুস্থ থাকলে যেভাবে যাচ্ছে এভাবে গেলে একদিন খেলব আইপিএল। যদি তখন কোনো খেলা না থাকে। আশা থাকবে ইচ্ছাও আছে, হয়তো সুযোগ পেলে ভালো কিছু করব ইনশাআল্লাহ।’