ভারতের ক্রিকেটের ‘ক্ষতি’ করছে আইপিএলের যে নিয়ম
এবারের আইপিএলে রান উঠছে দেদারসে। তার কারণ হিসেবে অনেকেই দেখছেন এক মৌসুম আগে থেকে শুরু হওয়া ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নিয়মের। তবে এই নিয়মটার খুব বড় ভক্ত নন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তার অভিমত, ভারতের ক্রিকেটের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই নিয়ম।
সেটা কীভাবে? ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মের আওতায় প্রতিটা দল একটা ম্যাচে ১২ জন খেলোয়াড় খেলাতে পারে। ব্যাটিংয়ের সময় একজন পুরোদস্তুর ব্যাটার, বোলিংয়ের সময় তার বদলে দলে আনা যাচ্ছে একজন বিশেষজ্ঞ বোলারকে।
বিষয়টাকে অলরাউন্ডারদের উন্নতির পথে বাধা হিসেবে দেখছেন রোহিত। সম্প্রতি ক্লাব প্রেইরি পডকাস্টে রোহিত বলেন, ‘আমি মনে করি এটা বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে। কারণ ক্রিকেটটা ১১ জনের খেলা, ১২ জনের নয়।’
বিষয়টা আরও পরিষ্কার করলেন তিনি ওয়াশিংটন সুন্দর ও শিভম দুবের উদাহরণ টেনে, ‘আমি ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের খুব বড় ভক্ত নই। শুধু মাত্র দর্শককে বিনোদন দিতে আপনি খেলাটার অনেক কিছু বদলে দিচ্ছেন। আপনি ক্রিকেটের দৃষ্টিকোণ থেকে যদি দেখেন, আমি আপনাকে উদাহরণ দিতে পারব। ওয়াশিংটন সুন্দর, শিভম দুবেদের মতো খেলোয়াড়রা বল করতে পারছে না। যা আমাদের জন্য খুব ভালো বিষয় নয়।’
২০২৩ সালের আইপিএলে এই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম চালু হয় আইপিএলে। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, এই নিয়মটা পছন্দ হয়েছে তার। তবে অলরাউন্ডারদের ওপর বিষয়টা প্রভাব ফেলবে কি না, সে প্রসঙ্গে তিনি খানিকটা দ্বিধাতেই ছিলেন। বলেছিলেন, ‘আমি জানি না এটা অলরাউন্ডারদের ওপর প্রভাব ফেলবে কি না। একজন অলরাউন্ডার সবসময় অলরাউন্ডারই থাকবে। খেলার যে কোনো সময়ে এটা আপনাকে বোলিংয়ের বিকল্প এনে দেবে, যে কোনো সময় আপনি একজন অলরাউন্ডারকে ব্যাটও করাতে পারবেন। তো অলরাউন্ডার অলরাউন্ডারই থাকবে। হ্যাঁ, ১২তম খেলোয়াড় দলে নিয়ে পাঁচ-ছয় নম্বর বোলার বা একটা বাড়তি ব্যাটার দলে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করে দলে ভারসাম্য আনতে পারবেন।’
শেষ এক বছরে এই নিয়ম প্রতিটি দলই ব্যবহার করেছে। তাতেই চোখ খুলে গেছে রোহিতের। খোলামেলা বলেই ফেললেন, এই নিয়ম ভারতীয় ক্রিকেটের ক্ষতিই করছে!