পাওয়ার প্লেতে বিশ্ব রেকর্ডের পরও তিনশ ছোঁয়া হল না হায়দরাবাদের

পাওয়ার প্লেতে বিশ্ব রেকর্ডের পরও তিনশ ছোঁয়া হল না হায়দরাবাদের

চলতি আইপিএলে একের পর এক রেকর্ড চুরমার করে দিচ্ছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ট্রাভিস হেড তো রীতিমতো বোলারদের জন্য আতঙ্কের নাম। সেই তিনি এদিন দিল্লি ক্যাপিটালসের বোলারদের মধ্যে আতঙ্ক ঢুকিয়ে দেন ইনিংসের প্রথম বলেই। বিশাল এক ছক্কায় খলিল আহমেদকে স্বাগতম জানিয়ে ইনিংসের সূচনা করেন। এরপর ওই ওভারে তুলেন ১৯ রান।

এরপর বল হাতে যারাই এসেছেন তাদের অবস্থা হয়েছে অনেকটা এমন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি টাইপ। ১৬ বলেই ফিফটি তুলে নেন হেড। কম যান না অভিষেক শর্মাও। হেডের চেয়ে কয়েক কাঠি সরেস তিনিও। হেড যেখানে ৩০০এর বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন। সেখানে অভিষেক রান তুলেছেন ৪০০-এর বেশি স্ট্রাইক রেটে। আর তাদেই দু’জনের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে রেকর্ড ১২৫ রান তুলে হায়দরাবাদ। এই সময়ে ছক্কা হয়েছে ১১ টি আর চার ১৩টি। মনে হচ্ছিল আজ নিজেদের ২৮৭ রানের রেকর্ড ভেঙে তিনশ ছুঁয়ে ফেলবে দলটি। তবে শেষ পর্যন্ত হয়নি সেটি। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট খরচায় স্কোবোর্ডে ২৬৬ রান জমা করতে পেরেছে হায়দরাবাদ।

আইপিএলে পাওয়ার প্লেতে এর আগের রেকর্ডটা ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। ২০১৭ সালের আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ১০৫ রান তুলেছিল কলকাতা। আর টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব রেকর্ডটা ছিল নটিংহামশায়ারের। ২০১৭ সালে ন্যাটওয়েস্ট টি–টোয়েন্টি ব্ল্যাস্টে ডারহামের বিপক্ষে পাওয়ার প্লেতে ১০৬ রান তুলেছিল নটিংহামশায়ার। সেই রেকর্ডটিই আজ নিজের করে নিয়েছে হায়দরাবাদ।

এদিন মাত্র ১৬ বলে ফিফটি হাঁকিয়েছেন হেড। যা হায়দরাবাদের হয়ে অভিষেকের সঙ্গে যৌথভাবে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। আইপিএলে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটা যশস্বী জয়সওয়ালের। গত আইপিএলে কলকাতার বিপক্ষে রাজস্থানের হয়ে এই রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। সেই রেকর্ডটা এদিন প্রায় ভেঙে ফেলেছিলেন অভিষেক। তবে ফিফটির আগ মুহূর্তে ১২ বলে ৪৬ রান করে ফিরতে হয়েছে তাকে। তাকে ফেরানোর পেছনে অবশ্য কৃতিত্ব কম না অক্ষর প্যাটেলের। মিড অনে দাঁড়িয়ে লাফিয়ে পড়ে দুর্দান্ত একটা ক্যাচ নিয়েছেন তিনি।

এরপর অবশ্য রানে কিছুটা লাগাম টানতে পেরেছে দিল্লি।কুলদীপ যাদব সপ্তম ওভারে এসে তুলেন ২ উইকেট। এরপর হেনরিখ ক্লাসেনও ফিরে যান দ্রুতই। সেঞ্চুরির পথে থাকা হেডও ফিরেছেন খানিকটা হতাশ করে ৩২ বলে ৮৯ রানে। ঝড়ের পর হঠাৎই হায়দরাবাদের ব্যাটিং ধস। রেকর্ড দলীয় সংগ্রহ কিংবা তিনশ ছোঁয়ার স্বপ্নটা ওখানেই শেষ হয়ে যায় হায়দরাবাদের। শঙ্কা জেগেছিল আড়াই শ পার করা নিয়েও। এরপর দলকে টানেন নিতিশ কুমার, শাহাবাজ আহমেদ ও সামাদরা। তাদের ব্যাটিংয়েই দিল্লিকে ২৬৭ রানের কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পেরেছে হায়দরাবাদ। 

সম্পর্কিত খবর