শ্রেয়াসের ৫০, সল্টের ৪৮ এ ভর করে কলকাতার ২২২

শ্রেয়াসের ৫০, সল্টের ৪৮ এ ভর করে কলকাতার ২২২

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে মৌসুমের শুরুতেই একবার হারিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রতিপক্ষের মাঠে এসেছিল কেকেআরের ওই জয়। এবার নিজেদের মাঠে শ্রেয়াস আইয়াররা ২২২ রানের পাহাড় দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন বিরাট কোহলিদের সামনে। 

টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। ফিল সল্ট যেন সে সিদ্ধান্তের জন্য প্রতিপক্ষ অধিনায়ককে অপরাধবোধের গ্লানিতে ডোবানোর পণ নিয়েই নেমেছিলেন। ১৩ বলের দশটাই সীমানাছাড়া করেছেন। মাত্র আগের দিনই জেক ফ্রেজার ম্যাগার্ক ১৫ বলে ফিফটি করে আইপিএলের দ্রুততম ৫০ ছুঁয়েছিলেন। তার পরদিন ১৩ বলে ৪৮ করে সে রেকর্ডটাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিলেন ইংলিশ এই ব্যাটার। তবে ১৪তম বলে আরও এক বাউন্ডারির খোঁজে তিনি ক্যাচ দেন বাউন্ডারি লাইনে। 

তবে ফেরার আগে তিনি যা করে দিয়ে গেছেন, তাতে ভর করে পাওয়ারপ্লেতে ৭৫ রান তুলে ফেলে কেকেআর। সল্ট ফেরার পর সুনীল নারাইন আর আংক্রিশ রঘুবংশীও ফেরেন পাওয়ারপ্লে শেষের আগেই। এরপর ধীরে সুস্থে পরিস্থিতিটা সামলান দুই আইয়ার। অধিনায়ক শ্রেয়াস ফিফটি করেন ৩৫ বলে। ওদিকে ভেঙ্কটেশ অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, ১৬ রান করেন তিনি ৮ বল খেলে। শ্রেয়াসও ফিফটির পরই বিদায় নেন। মাঝে রিংকু সিং খেলে যান ১৬ বলে ২৪ রানের এক ইনিংস।

এরপর শেষটা ভালো করার দায়িত্ব এসে পড়ে আন্দ্রে রাসেল আর রামানদীপ সিংয়ের কাঁধে। দুজন মিলে সপ্তম উইকেটে ১৬ বলে তোলেন ৪৩ রান। আন্দ্রে রাসেল অবশ্য একটু নিস্প্রভ ছিলেন। ২০ বলে তিনি করেছেন ২৭। তবে ওপাশে রামানদীপ করেছেন ৯ বলে ২৪। তাতেই কলকাতা পেয়ে যায় ২২২ রানের পুঁজি।

তবে শেষ ম্যাচেই বেঙ্গালুরু ২৮৭ রান তাড়া করতে নেমে তুলে ফেলেছিল ২৬২ রান। কলকাতার কাজটা যে আজ সহজ হবে, এমন নিশ্চয়তা প্রথম ইনিংসের পরই মিলছে না মূলত ওই ইনিংসের কারণেই।

সম্পর্কিত খবর