সহজ লক্ষ্যে ঘাম ঝরানো জয় গুজরাটের
আইপিএলের এবার আসর যেন পুরোদস্তুর ব্যাটারদের। একেকটি ম্যাচে শুরু থেকেই দেখা মেলে ব্যাটিং ঝড়ে। চলতি আসরেই দুই ইনিংস মিলিয়ে ২৫০-এর ঊর্ধ্বে সংগ্রহ হয়েছে মোটে চারবার। যা যেকোনো আসরে সর্বোচ্চ। গতকাল দিনের প্রথম ম্যাচেও দুটি ইনিংসেই দুইশ পেরিয়েছে সংগ্রহ। কলকাতার ২২৩ রানের লক্ষ্যে বেঙ্গালুরু হেরেছে স্রেফ ১ রানে। তবে দিনের আরেক ম্যাচ ছিল স্বল্প রানের। একের পর দুইশ পেরোনোর ইনিংসের পর গুজরাট টাইটান্সে সামনে পাঞ্জাব কিংসের দেওয়া ১৪৩ রানের টার্গেটকে একদম মামুলি বলা না গেলেও সহজ লক্ষ্য বলাই যায়। তবে সেই রান তুলতেই যেন ঘাম ঝরে গেল আগের আসরের রানার্স-আপ দলটির। শেষ ওভারে গড়ান ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটের কষ্টার্জিত জয় পেল গুজরাট।
এই জয়ের পরও পয়েন্ট তালিকায় কোনো পরিবর্তন আসেনি গুজরাটের। আট ম্যাচের চারটিতে জিতে ছয় নম্বরেই থাকলো শুভমান গিলের দল। এদিকে আরও এক হারে পয়েন্ট তালিকার নয়ে নিজেদের জায়গা যেন আরও পোক্ত করলো পাঞ্জাব। সমান আট ম্যাচে তাদের জয় স্রেফ ২টিতে।
পাঞ্জাবের মাঠ মোহালিতেটসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪২ রানের লড়াকু পুঁজি পায় দলটি।
সহজ লক্ষ্যে শুরুটাও ভালো পায় গুজরাট। তবে রানের গতি ছিল বেশ ধীর। দলীয় ৬৬ রানের মাথায় যখন তারা দ্বিতীয় উইকেট হারায় তখন চলে দশম ওভার। তবে হাতে উইকেটের সংখ্যা ছিল বেশি। এদিকে ১৬তম ওভারে এসে দলীয় সংগ্রহ ১০০ পেরোতেই সাজঘরে ফেরে গুজরাটের অর্ধেক দল। শেষ ২৮ বলে জয়ের জন্য দরকার আরও ৪০ রান।
শেষ দিকে রাহুল তেওয়াতিয়ার ১৮ বলে পুরো দুইশ স্ট্রাইকরেটে করা ৩৬ রানের সময় উপযোগী ইনিংসে শেষ পর্যন্ত শঙ্কা কাটিয়ে ১৯ ওভার ১ বলে এসে জয় তুলে নেয় গুজরাট। সেখানে পাঞ্জাবের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন হার্শাল প্যাটেল।
এদিকে এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ঝোড়ো পেয়েছিল পাঞ্জাব। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই ১ উইকেট হারিয়ে ৫৬ রান তোলে তারা। তবে এরপরই শুরু হয় ব্যাটিং ধস। ৯৯ রানে পৌঁছাতেই তারা হারায় ৭ উইকেট। পরে শেষ দিকে হারপ্রিত ব্রারের ১২ বলে ২৮ রানের ক্যামিওতে লড়াকু পুঁজি পায় পাঞ্জাব। সেই ইনিংসে গুজরাটের হয়ে ৪ ওভারে ৩৩ রান খরচ করে নেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট। এতে জেতেন ম্যাচ সেরার খেতাবও।