বাংলাদেশকে কতটা চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে ‘আনাড়ি’ যুক্তরাষ্ট্র?
বছর পাঁচেক আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে হাতেখড়ি হয় যুক্তরাষ্ট্রের। আর কিছুদিন পরেই প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টির মহাযজ্ঞ বিশ্বকাপে অংশ নেবে তারা। তাদের ঘরের মাঠেই এবার বসবে বিশ্বকাপের আসর। তার আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য। আগামীকাল মঙ্গলবার (২১ মে) প্রেইরি ভিউতে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার চেষ্টা আগেও করেছে। ২০১০ সাল থেকে চারবার এই টুর্নামেন্টের বাছাইপর্বে অংশ নিয়েছে। কিন্তু কোনোবারই তাদের শিকে ছেঁড়েনি। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে বিশ্বকাপের সহ-স্বাগতিক হয়ে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলোয়াড় যোগ্যতা অর্জন করেছে তারা।
বিশ্বকাপে বেশকিছু চমক উপহার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের সাবেক কোচ অস্ট্রেলিয়ান স্টুয়ার্ট ল’কে হেড কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। সাবেক নিউজিল্যান্ড অলরাউন্ডার কোরি অ্যান্ডারসনকে তাদের দলভুক্ত করেছে। যার ফলে বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটের ‘আনাড়ি’ চেহারা কিছুটা হলেও বদলেছে। তবে আদতে মাঠে কতটা কী করতে পারবে তারা সেটার একটা ধারণা বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজেই পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের আগে গত এপ্রিলে কানাডার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে যুক্তরাষ্ট্র। সে সিরিজে একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেলেও বাকি চার ম্যাচের সবকটি জিতে নেয় তারা। সিরিজে সামনে থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটিংয়ের নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল। ৪ ম্যাচে করেন ১২০ রান।
বোলিংয়ে সিরিজ সর্বোচ্চ ৬টি করে উইকেট নেন পেসার শেডলি ফোন শকউইক এবং ভারতীয় বংশোদ্ভুত বাঁহাতি স্পিনার হারমিত সিং।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা নিঃসন্দেহে পেসার আলী খান। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি লিগে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা উড়িয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএল, বিপিএলের মতো টুর্নামেন্টে খেলেছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই ক্রিকেটার। বিশ্বকাপে এবং তার আগে বাংলাদেশ সিরিজে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্পকার্ড হতে
যুক্তরাষ্ট্রের এই দলটির বিশেষত্ব বললে বোধহয় একটা জিনিসের কথা সবার আগে আসবে। আর সেটা হচ্ছে দলের বহুজাতিক চেহারা। উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে ভারত এবং পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়দের সমন্বয়েই তৈরি যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট দল। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেয়া বেশকয়েকজন ক্রিকেটারও রয়েছেন এই দলে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজটিকে বাংলাদেশ কন্ডিশনের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নেয়ার সুযোগ হিসেবেই দেখছে। এছাড়া বিশ্বকাপের আগে শেষমুহূর্তে দলের কম্বিনেশনগুলোও পরখ করার সুযোগ পারবে টিম ম্যানেজমেন্ট। অফ ফর্মে থাকা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাসরাও নিজেদের ফর্মে ফেরানোর উপলক্ষ্য হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন এই সিরিজকে।
অবশ্য শুধু এই সিরিজই নয়, বিশ্বকাপ অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচেও যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে বাংলাদেশ।