উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরি, লিডের আশায় নিউজিল্যান্ড
এখনো লিড নিতে পারেনি নিউজিল্যান্ড, অলআউটও হয়নি অবশ্য। তবে স্কোরবোর্ডে যে রান তুলেছে, সেটা থেকে রানটা অনেক কম হতে পারত, এমনকি ১০টা উইকেটও তুলে নেওয়া যেত কিউইদের, যদি কেন উইলিয়ামসন ৬৫ আর ৮৬ রানে দুটো জীবন পেয়ে না যেতেন তাহলে। তাকে দুবার সাজঘরে ফেরানোর সুযোগ পেয়েও বাংলাদেশ হেলায় হারিয়েছে। তিনিও সুযোগটা কাজে লাগিয়েছেন, তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ২৯তম সেঞ্চুরি। তিনি পরে থেমেছেন, তবে তার আগে যা করে গেছেন তাতেই ২৬৬ রানে ৮ উইকেট খুইয়ে দিন শেষ করা নিউজিল্যান্ড এখন স্বপ্ন দেখছে লিডের।
তৃতীয় সেশনে বাংলাদেশ বোলিংটা মন্দ করেনি। আগের সেশনে উইকেটশূন্য থাকা নাঈম হাসান বাংলাদেশকে এনে দেন প্রথম ব্রেক থ্রু। উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলিয়ে বিদায় করেন টম ব্লান্ডেলকে। একটু পর মুমিনুল হক আক্রমণে আসেন ৯ বছর পর। এসেই বাজিমাত, এই খণ্ডকালীন স্পিনারই ইতি টেনে দেন গ্লেন ফিলিপসের ইনিংসের, যিনি বাংলাদেশ ইনিংসে স্বাগতিকদের ভুগিয়েছেন বেশ। মুমিনুলের ওভারের শেষ বলে স্লিপে অধিনায়ক শান্তর হাতে ক্যাচ তুলে দেন ৪২ রান করা ফিলিপস।
উইলিয়ামসন এরপর জীবন পেয়েছেন আরও একবার। নাঈম হাসানের ফুলার লেন্থের বলটা স্কয়ার লেগ দিয়ে তুলে মারতে চেয়েছিলেন, বল উঠে গিয়েছিল আকাশে। শরিফুল ইসলাম সামনে এলেন বটে, কিন্তু বলের ট্র্যাজেক্টরিটা ধরতে পারলেন না ঠিকঠাক। সামনে ডাইভ দিলেন বটে, কিন্তু বলটা পড়ল তারও একটু সামনে। দুই জীবন নিয়ে সেঞ্চুরিটা তুলে নিতে ভুল করেননি তিনি। তবে থামেন এরপরই। নতুন বলে আক্রমণে আসা তাইজুলের ডেলিভারিতে বোল্ড হন তিনি। ১০৪ রানে থামে তার ইনিংস।
এর একটু পর তাইজুল আবারও দৃশ্যপটে। ইশ সোধি লেগ স্লিপে থাকা শাহাদাত হোসেন দীপুর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তার বলে। লিড এখনো পায়নি নিউজিল্যান্ড। তবে উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরিতে সে আশাটা এখনো দেখতে পারছে দলটা। সে সুযোগটা তো করে দিয়েছে বাংলাদেশই!