ভারতে বুমেরাং হতে পারে বাজবল

ভারতে বুমেরাং হতে পারে বাজবল

মাইকেল ভন

খেলার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন জায়গা হলো ভারত। তার আগে আপনি যদি অ্যাশেজে তাকান তবে দেখবেন, নাথান লায়ন যখন ফিট ছিল অস্ট্রেলিয়া তখন ২-০ তে এগিয়ে। অর্থাৎ অ্যাশেজে তার দাপট স্পষ্ট। ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা তাকে খেলতে গিয়ে মাঝে মাঝে হাস্যকর সব শট খেলে আউট হয়েছে। কাজেই সে এটা বলতেই পারে বাজবলের বিরুদ্ধে সে ২-০ তে জয়ী। এতো গেল কেবল একজন স্পিনারের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড দলের চিত্র।

এবার আপনি যদি ভারতের স্পিনিং উইকেটের দিকে তাকান। যেখানে অশ্বিন, জাদেজা ও অক্ষর প্যাটেলের মতো পরীক্ষিত বোলাররা রয়েছে। এবার কল্পনা করুন সেখানে কি হতে পারে। তবেই উত্তরটা পেয়ে যাবেন। এখানে তাদের বাজবল একেবারে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।

ইংল্যান্ড দল যখন বাইরে যাবে তখন ঠিক একইভাবে খেলতে চাইবে। ভারতে প্রভাব বিস্তার করতে চেষ্টা করবে এবং ম্যাচ জিতবে; সে সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেই বলেছি। আর এমনটা হলে তা হবে দুর্দান্ত। তবে আপনাকে ভাবতে হবে, ইংলিশ কন্ডিশনে নাথান লিয়নের মতো স্পিনার যদি ইংল্যান্ডকে ভোগাতে পারে তবে ভারতের তিনজন মানসম্পন্ন স্পিনার কি করতে পারে। সহজ কথায় ভারতে জেতা ইংল্যান্ডের জন্য খুব কঠিন কাজ হবে। তবে এর মানে এই নয় যে আমি বাজবলকে সমর্থন করি না।

বলতে গেলে আমি বজবলের একজন বিশাল ভক্ত। আমি মনে করি এটি গত ১৮ মাসের একটি উদ্ঘাটন। এমন একজন অস্ট্রেলিয়ান নেই যে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলতে পারবে যে তারা অ্যাশেজে ইংল্যান্ড যেভাবে খেলেছে তার প্রশংসা করেনি। হ্যাঁ, তারা হয়তো অ্যাশেজ জিততে পারেনি। তবে ইংল্যান্ড যেভাবে তাদের ক্রিকেট খেলেছে তা এক কথায় দুর্দান্ত। ঝুঁকিপূর্ণ ও মাঝে মধ্যে অস্বস্তিকর হলেও সবাই তাদের খেলা দেখতে পছন্দ করছে।

আপনি যদি ইংল্যান্ডের দলে তাকান দেখবেন ভারত সিরিজের জন্য দলে স্পিনার বাড়ানো হয়েছে। কেননা, পাঁচ ম্যাচের সিরিজে নিশ্চিতভাবেই স্পিন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চলেছে। আমার মনে হয় এই সিরিজে ইংল্যান্ড সম্ভবত দুইজন সীম বোলার খেলাবে। প্রয়োজনে অফ-স্পিনার হিসেবে নিয়মিতদের সঙ্গে জো রুটকেও কাজে লাগানো যেতে পারে।

মাইকেল ভন-ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক

সম্পর্কিত খবর