তামিমকে নিয়ে অপেক্ষায় রইল বিসিবি
তামিম ইকবাল দীর্ঘ দিন ধরেই আছেন ক্রিকেটের বাইরে। আরেকটু স্পষ্ট করে বললে শেষ পাঁচ মাসে সিরিজ খেলেছেন একটা। বাংলাদেশ দলের জার্সি গায়ে আবার ফিরবেন কবে, আদৌ ফিরবেন কি না, তা নিয়েও আছে সংশয়।
তামিম নিজেই জানিয়েছেন, বিপিএলেই আপাতত তার সবটুকু মনোযোগ। সেটা খেলে তারপর জানাবেন তার সিদ্ধান্ত। যদিও তার সিদ্ধান্তটা কী, তা তিনি ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে।
সে বৈঠক শেষে পাপন জানিয়েছিলেন, ‘বিপিএলের পর তামিমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার আগে সে ফিরবে না। আমার মেয়াদ শেষের দিকে, দায়িত্ব ছাড়ার আগে বেশকিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে চাই।’
সেদিনই পাপন ‘কিছু সিদ্ধান্তে’ আরও কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দেন, ‘তামিম কিছু কথা বলেছে। আমি কারোর কথায় কিছু করব না, আগে আমাকে নিজেকে জানতে হবে, সমস্যাটা কোথায়। সবার সঙ্গে কথা বলব, সবকিছু জানব তারপর নিজে সিদ্ধান্ত নেব, যেটা আমি করতাম আগে। ও বলল এটা খুবই ভালো কথা। ওর সঙ্গে কথা হয়েছে যেটাই সিদ্ধান্ত নিই সেটা বিপিএলের পর। বিপিএলের পরে সব ইনফরমেশন পেয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সেটা নেব। যেটা ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে সেটাই করব।’
তবে সেটা অনেক পরের বিষয়। নতুন বছর শুরু হয়নি, বিপিএল শুরু আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝিতে। এরপর নাহয় সিদ্ধান্ত নেবেন পাপন। তবে এখন বিসিবি তামিম ইস্যুতে ভাবছে কী? নতুন বছরে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তামিম থাকবেন? থাকলেও কয়টা ফরম্যাটে?
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের কাছেও এসবই জানতে চাওয়া। তিনি অবশ্য বল ঠেলে দিলেন তামিমের কোর্টে। বললেন, 'আমরা অপেক্ষা করেছি তামিম আর বিসিবি প্রধানের কথোপকথন পর্যন্ত। যেহেতু তামিম বলেছে, বিসিবি সভাপতির সাথে তার কথা হয়েছে। বিসিবি প্রেসিডেন্ট উনিও বলেছেন তার সঙ্গে একটা মিটিং হয়েছে তামিমের। এর মধ্যে তামিমের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ভবিষ্যত নিয়ে কী আলাপ-আলোচনা হয়েছে, আমি জানি না। জানতে হবে তার কমিটমেন্ট কী সামনের দিকে। এটার ওপর ভিত্তি করে চুক্তির কথা চিন্তা করতে হবে।'