‘নিখুঁত ছক্কা’ নিয়ে শেষ ষোলোয় রিয়াল মাদ্রিদ
চ্যাম্পিয়ন্স লিগটা যেন রিয়াল মাদ্রিদেরই প্রতিযোগিতা। সবচেয়ে বেশি শিরোপা তাদের। পিছিয়ে পড়ে কী করে ম্যাচে ফিরতে হয়, তা রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ভালো কে জানে? সেটা আবারও দেখিয়েছে রিয়াল, পিছিয়ে পড়েও ইউনিয়ন বার্লিনের বিপক্ষে তুলে নিয়েছে দারুণ এক জয়। ৩-২ গোলের এই জয়ে দলটা চলতি মৌসুমের প্রথম দল হিসেবে ৬ জয় আর পূর্ণ ১৮ পয়েন্ট নিয়ে চলে গেছে শেষ ষোলয়।
শেষ ষোল নিশ্চিত ছিল দলটার, এমনকি শীর্ষস্থানও। সে কারণেই হয়তো, কোচ কার্লো অ্যানচেলত্তি দলটা নামিয়েছিলেন একটু বদলে, রিয়াল বেতিস ম্যাচ থেকে একাদশে এসেছিল ৫টি পরিবর্তন।
বিরতির একটু আগে পেনাল্টি পেয়েছিল রিয়াল, তবে লুকা মদ্রিচ তা মিস করে বসেন। ২০১৪ সালের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পেনাল্টি পেয়েও মিস করে বসে দলটা। সাত বছর আগে লুদোগোরেৎসের বিপক্ষে পেনাল্টি মিস করেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, এবার করলেন মদ্রিচ।
সে ম্যাচের সঙ্গে এ ম্যাচেরও মিল আছে বেশ। সেবার রোনালদোর পেনাল্টি মিসের পরও রিয়াল জিতেছিল, জিতল আজও। তবে সেবারের মতো অনায়াসে নয়, বেশ কাঠখড় পুড়িয়ে। মদ্রিচের পেনাল্টি মিসের পরই গোল করে বসে স্বাগতিক বার্লিন। কেভিন ভলান্দের গোলের পর পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে হয় রিয়ালকে।
রিয়ালের ফেরার গল্প লেখা হয় এরপরই। হসেলুর জোড়া গোলে ৭২তম মিনিটেই এর জবাব দিয়ে দেয় দলটা। ৮৫ মিনিটে অবশ্য ম্যাচে আবারও সমতা আনেন অ্যালেক্স ক্রাল, ৫ বছর পর ক্লাব ফুটবলে গোলের দেখা পান তিনি।
তবে তার মুখের হাসিটা টেকেনি বেশিক্ষণ। ৮৯ মিনিটে জুড বেলিংহামের পাস থেকে করা দানি সেবায়োসের গোল রিয়ালকে এনে দেয় ৩-২ গোলের দারুণ জয়। ছয় ম্যাচের ছয়টিতেই জয় পায় দলটা, ২০১১, ২০১৪ এর পর রিয়াল তৃতীয় বারের মতো ‘নিখুঁত ছক্কা’ নিয়ে চলে যায় শেষ ষোলয়। আজ রেড স্টার বেলগ্রেডের বিপক্ষে জিতলে ম্যানচেস্টার সিটিও ১৮ পয়েন্ট নিয়ে চলে যাবে দ্বিতীয় রাউন্ডে।