এমবাপের পিএসজিকে শেষ ষোলোয় নিলেন ১৭ বছরের এমেরি

এমবাপের পিএসজিকে শেষ ষোলোয় নিলেন ১৭ বছরের এমেরি

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আর সব গ্রুপের চেয়ে এফ গ্রুপ নিয়েই যেন আগ্রহটা ছিল বেশি। নামগুলো দেখুন– পিএসজি, নিউক্যাসল, বরুসিয়া ডর্টমুন্ড আর এসি মিলান… এমন সব দল যখন এক গ্রুপে পড়ল, তখন তা মৃত্যুকূপ না হয়েই পারে না। 

গ্রুপ এফ তা হলোও। শেষটাও হলো একেবারে ‘ব্লকবাস্টার’। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের শেষ ষোলো নিশ্চিত ছিল, ঝুলে ছিল বাকিদের। শেষ দিনে সবাই দ্বিতীয় রাউন্ডে চলে যাওয়ার সম্ভাবনায় ছিল। এমনকি ম্যাচ শুরুর পরও। তবে শেষমেশ ভাগ্যটা সঙ্গ দিল পিএসজিকে। ১৭ বছর বয়সী ওয়ারেন জায়ার এমেরির গোলে ডর্টমুন্ডের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে কিলিয়ান এমবাপের পিএসজি চলে গেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলয়।

গোলটা এমবাপের  পা থেকেই আসতে পারত। বিরতির একটু আগে তার করা শট নিকলাস সুলে দারুণ স্লাইডিং ট্যাকলে ঠেকিয়ে দেন। এর আগেও গোলের দেখা পেতে পারত পিএসজি। কিন্তু ব্র্যাডলি বারকোলা আর রান্দাল কোলো মুয়ানির দুটো শট বেরিয়ে যায় পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে। এদিকে মার্কো রয়েস আর কারিম আদেয়েমির কাছেও সুযোগ এসেছিল বরুসিয়াকে এগিয়ে দেওয়ার, তবে তারাও সফল হননি। ফলে প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি পিএসজি-ডর্টমুন্ডের কেউই। 

প্রথমার্ধে গোল না পেলেও আদেয়েমি ঠিকই দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে এগিয়ে দেন বরুসিয়াকে। ওদিকে নিউক্যাসল নিজেদের মাঠে এগিয়ে ছিল মিলানের বিপক্ষে, ফলে পিএসজির সামনে শঙ্কা ছিল গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেওয়ার। 

তবে এমবাপে-জাদুতে পিএসজি আবারও ফেরে লড়াইয়ে। দারুণ কারিকুরিতে ডর্টমুন্ড রক্ষণ ভেঙে তিনি বল বাড়ান জায়ার এমেরিকে, ১৭ বছর বয়সী কিশোর বলটা পাঠান স্বাগতিকদের জালে। পিএসজি আরও একবার বল জড়িয়েছিল ডর্টমুন্ডের জালে, কিন্তু এমবাপে অফসাইডের কারণে গোলটা পাননি। তাই জয়ও পাওয়া হয়নি তাদের। 

বিষয়টা তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াতে পারত নিউক্যাসল যদি নিজেদের ম্যাচে জিতে যেত। কিন্তু ওদিকে গ্রুপের অন্য ম্যাচে ইংলিশ দলটা মুখ থুবড়ে পড়ে মিলানের সামনে, ৫৯ মিনিটে ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিক আর ৮৪ মিনিটে স্যামুয়েল চুকওয়েজের গোলে মিলান তুলে নেয় ২-১ গোলের জয়। পিএসজির কপাল খুলে যায় তাতে, আর নিউক্যাসল পোড়ে স্বপ্নভঙ্গের বেদনায়।

সম্পর্কিত খবর