জয় দিয়ে প্রস্তুতি সারল বাংলাদেশ
প্রস্তুতি ম্যাচ মানে স্রেফ প্রস্তুতিই মূখ্য, জয় হার বড় কোনো কিছু নয়। সেই প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে। নিউজিল্যান্ড একাদশকে হারিয়েছে ২৬ রানে।
নিউজিল্যান্ড একাদশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল ভালো। ৪৭ রানের ওপেনিং জুটি, তাতে এনামুল হক বিজয়েরই রান ২৬ বলে ৩৩। এরপর তিনে নামা সৌম্যকে সঙ্গে নিয়ে তানজিদ গড়েন ১০১ রানের জুটি।
বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা, টপ অর্ডারের কেউ ইনিংস লম্বা করতেই পারছেন না। নিউজিল্যান্ড একাদশের বিরুদ্ধেও সমস্যাটা রইল বাংলাদেশের। তানজিদ ফেরেন ৫৮ রানে, এরপর সৌম্য আউট হয়েছেন ৫৯ রান করে।
এরপর উইকেটে আসা তাওহীদ হৃদয় ও আফিফ হোসেন তালটা ধরতে ব্যর্থ হন, বাংলাদেশ বিপদেই পড়ে যায়। রিশাদের কীর্তির শুরু এরপরই। শুরুতে অবশ্য তার ওপাশে ছিলেন লিটন দাস। রিশাদকে খুব বেশি আক্রমণ করতে দেখা যায়নি তাই। লিটন যখন ফিফটির পর আউট হলেন, রিশাদ রুদ্রমূর্তি ধারণ করলেন এরপরই।
৩৯তম ওভারে লিটন যখন আউট হচ্ছেন, তখন রিশাদের রান ২২ বলে ২৪। লিটনের বিদায়ের পর ওপাশে সঙ্গীর আসা যাওয়া দেখেছেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটিংয়ের মেজাজটাও পরিবর্তন করে ফেলেন তিনি। পরের ৩২ বলে তুলেছেন ৬৩ রান। ইনিংস যখন শেষ করছেন, তার নামের পাশে যোগ হয়ে গেছে ৮৭ রান, যা তিনি সাজিয়েছেন ১১ চার আর ৪টি ছয়ে। বাংলাদেশও পেয়ে যায় ৩৩৪ রানের বড় সংগ্রহ।
এরপর বল হাতেও শুরুটা ভালো হয়েছিল বাংলাদেশের। হাসান মাহমুদ তার শুরুর স্পেলে তুলে নিয়েছিলেন দুই উইকেট। এরপর তৃতীয় বোলার হিসেবে আসা তানজিম হাসান সাকিব তুলে নিয়েছিলেন একটি আর আফিফ হোসেন তুলে নিয়েছিলেন একটি উইকেট। ৮০ রান তুলতে ৪ উইকেট খুইয়ে নিউজিল্যান্ড একাদশ ছিল খাদের কিনারে। তবে এরপরই নিউজিল্যান্ড পায় বড় এক জুটি। ভারত পপলি ও এসকে প্যাটেল ১৫৬ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের আশা দেখাচ্ছিলেন। দ্বিতীয় স্পেলে আক্রমণে এসে দুজনকেই বিদায় করেন আফিফ। সেঞ্চুরির ৮ রান দূরে থামেন পপলি, আর প্যাটেল করেন ৮৯।
এরপর নিউজিল্যান্ডের লেজের ব্যাটাররাও রান পেয়েছেন। তবে নিয়মিত বিরতিতে তাদের উইকেট তুলে নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে থামান এর আগে ব্যাট হাতে আগুন ঝরানো রিশাদ। ৩ উইকেট নেন তিনি। নিউজিল্যান্ড থেমে যায় ৩০৮ রান তুলে। বাংলাদেশ পায় ২৬ রানের জয়।