ওয়ার্নারের দিনে পিছিয়ে নেই পাকিস্তানও
টেস্ট শুরুর আগে একটা তথ্য ইন্টারনেটে ঘুরেফিরে সামনে আসছিল, শেষ বার যখন অস্ট্রেলিয়ার বিশ উইকেট তুলে নিয়েছিল পাকিস্তান, তখন ফেসবুক-টুইটারের জন্মই হয়নি। শুরুর দুই সেশন শাহিন আফ্রিদিরা যা বল করছিলেন, তাতে মনে হচ্ছিল তার যথার্থতা প্রমাণেই যেন নেমেছে দলটা। বোলিং ভালো হচ্ছিল না, তার ওপর ফিল্ডিংও যাচ্ছেতাই। ডেভিড ওয়ার্নারের তোলাদুটো ক্যাচ হাত ফসকে গেছে পাকিস্তানের।
তারই সুযোগটা নেন ওয়ার্নার। তুলে নেন সেঞ্চুরি, এরপর দেড়শোও। তাতে ভর করে অস্ট্রেলিয়া শুরুর দুই সেশনে ছড়ি ঘুরিয়েছে সফরকারীদের ওপর। তবে শেষ সেশনে এসে ম্যাচে ফেরে পাকিস্তান। দিনটা অস্ট্রেলিয়া শেষ করে ৫ উইকেট খুইয়ে ৩৪৬ রান তুলে।
প্রথম সেশনটা পাকিস্তান ভুলেই যেতে চাইবে রীতিমতো। শাহিন আফ্রিদি, খুররম শাহজাদ, আমের জামালরা ১২০ রান খরচায় তুলে নিতে পারেনি একটি উইকেটও। অবশেষে পাকিস্তান ব্রেকথ্রু পায় দ্বিতীয় সেশনে এসে। শাহিন ফেরান উসমান খাজাকে।
ওদিকে ওয়ার্নারের তালোয়ার চলছিলই। ১২৫ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি। থামার কোনো চিহ্নই ছিল না রীতিমতো। ওপাশে লাবুশেনকে অবশ্য থামাল সফরকারীরা, ১৬ রান করে ফাহিম আশরাফের বলে ফেরেন তিনি। ইনিংসের পঞ্চাশতম ওভার খেলে যখন চা বিরতিতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, তখন তাদের স্কোরবোর্ডে রান ২১০, উইকেট এই দুটোই।
পাকিস্তান ম্যাচে ফিরল তৃতীয় সেশনে গিয়ে। ৩৪ ওভার দীর্ঘ এই সেশনে প্রথমে স্টিভেন স্মিথকে ফেরান খুররম শেহজাদ, এরপর ওয়ার্নার আর ট্র্যাভিস হেডকে ফেরান আমির জামাল। ওয়ার্নার বাদে আর একটা ফিফটিও পায়নি অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তান ম্যাচে ফিরে আসে তাতেই। কাল সকালে মিচেল মার্শ আর অ্যালেক্স ক্যারিকে ফেরাতে পারলেই যে কেল্লাফতে!
অস্ট্রেলিয়া
৩৪৬/৫ (ওয়ার্নার ১৬৪; আমির জামাল ৬৩/২)