নির্বাচক নান্নুর চেয়ারে ফাহিম!

নির্বাচক নান্নুর চেয়ারে ফাহিম!

জাতীয় দলের নির্বাচক খুঁজতে গিয়ে হন্যে হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর চেয়ারে বসতে পারেন এমন কাউকে এখনো খুঁজে পায়নি বোর্ড। অথচ এবারই প্রথম বিকল্প খুঁজতে নেমেছে। কিন্তু এখনো এই জায়গায় কাকে নেওয়া যায়-সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না বিসিবি!

হাতেও সময় খুব একটা নেই, এবছরের শেষেই মেয়াদ পূর্তি হবে নির্বাচক কমিটির দুই সদস্য মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশারের।

সেই ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। সব মিলিয়ে ১২ বছর আছেন নির্বাচকের চেয়ারে। তার সময়ে যেমন সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। তেমনি ব্যর্থতার পাল্লাটাও কম ভারি নয়। বিশ্বকাপ ভরাডুবির পর যা তার জন্য হয়ে উঠেছে মরার উপর খাঁড়ার ঘা। অর্থাৎ দীর্ঘ সময় পদ আগলে রাখলেও চলতি মাসেই মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন কাউকে এই পজিশনের জন্য ভাবছে বিসিবি। এখন প্রশ্ন হলো নান্নুর চেয়ারে তবে বসতে যাচ্ছেন কে?

উত্তর বেশ জটিল। কেননা, নতুন-পুরনো মিলিয়ে নান্নুর চেয়ারে বসতে আগ্রহী অনেকেই। গুঞ্জন আছে কোচদের কোচ খ্যাত নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে নিয়েও। অনেকেই নান্নুর জায়গায় তাকেই দেখছেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচকের ভূমিকায়। দীর্ঘ সময় বিকেএসপিএতে কাজ করায় ও ঘরোয়া ক্রিকেট ফলো করায় বাংলাদেশি অনেক তারকা ক্রিকেটারই নাড়ি নক্ষত্রই তার চেনা। তরুণ ও সম্ভাবনাময় ক্রিকেটারদের নিয়ে ভবিষৎবাণীতেও তার জুড়ি মেলা ভার। তাই তাকে নির্বাচক হিসেবে দেখা গেলে খুব বেশি অবাক হওয়ার থাকবে না।

তার নির্বাচক হওয়ার পথে বাধাও কম নয়। প্রায়শই গণমাধ্যমের সঙ্গে ক্রিকেটারদের নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিসিবির দিকে আঙুল তুলেন তিনি। যা হতে পারে নির্বাচক হওয়ার পথে তার প্রধান অন্তরায়। তাছাড়া বয়সটাও একটা ফ্যাক্টর। কেননা, প্রধান নির্বাচকের ভূমিকায় থাকলে নিয়মিত ঘরোয়া ক্রিকেট ফলো করতে হবে তাকে। যেতে হবে দেশের সর্বত্র। যা তার বয়সে খানিকটা কঠিন তো বটেই। বয়স ৫৭ ছাড়িয়েছে তার।

জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক পজিশনের জন্য নতুন কাউকে বেছে নিতে পারে বিসিবি। অথবা নান্নুকে সরিয়ে নির্বাচক প্যানেলের অপর দুই সদস্য হাবিবুর বাশার সুমন অথবা আব্দুর রাজ্জাকের কাউকে বেছে নিতে পারে বোর্ড। এমন ইঙ্গিতও আছে।

সম্পর্কিত খবর