নতুন ওপেনার পেয়ে গেল বাংলাদেশ!
৭১, ৫৫* ও ১১৬* এর মধ্যে সবশেষ দুটি ইনিংসেই আবার অপরাজিত। যেকোনো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের জন্য যা স্বপ্নের মতো। কেবল যে রান করেছেন তা নয়। পরিস্থিতি বুঝে ব্যাট চালিয়েছেন। দলকে জিতিয়েছেন। গ্রুপসেরা করে দলকে তুলেছেন এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে। বলছিলাম অনূর্ধ্ব-১৯ না পেরোনো তরুণ আশিকুর রহমান শিবলির কথা। এক কথায় যার ব্যাটই ভবিষ্যতের বাংলাদেশ।
খুব বেশি বলে ফেললাম কি?
ওপেনিং নিয়ে বাংলাদেশের সমস্যাটা বলতে গেলে প্রাগৈতিহাসিক। তামিম ইকবালকে ছাড়া দীর্ঘ সময় এই পজিশনে থিতু হতে পারেননি কোনো ব্যাটার। নতুন বলে বোকা বনে যাওয়ার অভ্যাসটা আমাদের পুরনো। প্রতিপক্ষের বোলারদের খুব বেশি কিছু করতেও হয় না উইকেট তুলতে। নিয়মিতই দায় সারা উইকেটে বিলিয়ে দিয়ে আসতে দেখা যায় দীর্ঘ সময় জাতীয় দলকে সার্ভিস দেওয়া ঝানু ওপেনারদেরকেও। এতো এতো ঘাটতি যখন চোখের সামনে; তখন শিবলির এমন ধারাবাহিকতার পর উচ্চবিলাসি স্বপ্ন না দেখে উপায় কি বলুন?
তবে দায়িত্বটা এখন শিবলির। ভক্ত সমর্থকদের মনে যেই আশার ফানুস তিনি উড়িয়েছেন তাকে খোলা আকাশে উড়তে দেওয়া। সেমিফাইনালেও ভারতের বিপক্ষে দলের কাণ্ডারি হওয়া। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপের আগে এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পড়া। এরপর ব্যাটে রানের ফোয়ারা ছুটিয়ে বিশ্বমঞ্চে বাজিমাত করা।
কিন্তু সম্ভাবনার মধ্যে আশঙ্কাও তো থাকে। এটা মেনে নিতে হবে সবাইকেই। কোনো কারণে যদি টুর্নামেন্টে আর না হাসে তার ব্যাট। তবে তাকে যেন ছুঁড়ে ফেলা না হয়।
ব্যাট হাতে যেই সম্ভাবনার বীজ শিবলি রোপণ করেছেন। তা যেন ফুলে ফলে ভরিয়ে দেয় দেশের ক্রিকেটকে। এই আর সেটি করতে বড় ভূমিকা রাখতে হবে পাইপলাইন নিয়ে কাজ করা জাতীয় দল সংশ্লিষ্ট সবার। যেন একটি ফুলও কুড়িতেই বিনষ্ট না হয়ে যায়। প্রস্ফুটিত হয়ে ঘ্রাণ ছড়ায়। আকৃষ্ট করে হাজারও তরুণকে।