কিউইদের মাঠে প্রথম জয়ে শান্তদের দরকার ২৪৫ রান
পুরো ম্যাচজুড়ে চলল বৃষ্টির খেলা। এতে প্রথমে ৪৬, পরে ৪০ এবং শেষে ম্যাচ এলো ৩০ ওভারে। শুরুর ওভারেই দুই উইকেট তুলে নিয়ে দাপটের জানান দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে তা শেষ সেখানেই। টম ল্যাথামের ৯২ এবং উইল ইয়াংয়ের সেঞ্চুরি পেরোনো ১০৫ রানের ইনিংসের ভরে কিউইরা দাঁড় করাল বিশাল লক্ষ্য। ৭ উইকেটে ২৩৯ রান তুলেছে তারা। ডিএলএস আইনে লক্ষ্যটা যেয়ে দাঁড়ায় ২৪৫ রানে।
এদিকে লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটা হলো মন্দের ভালো। ইনিংসের চতুর্থ বলেই সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার (০)। তবে এনামুল হোক বিজয়কে নিয়ে থিতু হওয়ার পথে এগোচ্ছেন অধিনায়ক নাজমূল হোসেন শান্ত। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৬ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ৪৪।
ডানেডিনে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সেখানে শরিফুলের পেস তোপে শুরুতেই নাকাল স্বাগতিকরা। যদিও ইনিংসের প্রথম বলটি চার মেরে শুরু করেছিল কিউইরা। তবে জবাব দিতে খুব একটা সময় নেননি শরিফুল। ইনিংসের চতুর্থ বলেই ফেরান বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে থাকা রাচিন রবীন্দ্রকে (০)। হালকা এক ইন সুইং বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। সেখানেই থামেননি শরিফুল। ওভারের শেষ বলে তুলে নিয়েছেন আরও একটি উইকেট। রানের খাতা না খুলেই ফেরেন হেনরি নিকোলসও।
তবে সেখানে কিউইদের দাপুটে ফেরাই জানান দিয়েছিল বিশাল সংগ্রহের। এবং ১১তম ওভারে সৌম্যর ক্যাচ মিস করলো তা পাকাপোক্ত। ওপেনার উইল ইয়াংকে নিয়ে অধিনায়ক টম ল্যাথাম গড়লেন ১৭১ রানের জুটি। চার হাজারি ক্লাবে প্রবেশের দিনে ৭৭ বলে ৯২ রান করে আউট হন ল্যাথাম। তবে ইয়াং তুলে নেন সেঞ্চুরি। রান আউটে কাটা পড়ার আগে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ৮৪ বলে ১৪ চার ও ৪ ছক্কায় করেছেন ১০৫ রান।
দুটি উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, একটি নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষের তিন ব্যাটারই হয়েছেন রান আউট।