বৃষ্টি আইনে বড় হারে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের
ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা হলো বাজেভাবে। মাঝে কিছুটা প্রতিরোধ। শেষে এসে আক্রমণ। এবং অসমাপ্ত ফিনিসিং! এমন ব্যর্থতা নিয়েই সিরিজের প্রথম ম্যাচ হারল বাংলাদেশ ৪৪ রানে। বৃষ্টিবিঘ্নিত ৩০ ওভারের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের ২৩৯ রানের জবাবে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেল ২০০ রানে। বৃষ্টি আইনে এই ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের টার্গেট ছিল ২৪৫ রানের। ৪৪ রানে হারের ব্যবধানে পরিস্কার এই ম্যাচে তেমন কোনো প্রতিযোগিতা হয়নি। বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যান আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করছিলেন। কিন্তু কেউ ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি। বাংলাদেশও স্বাগতিকদের দেওয়া চ্যালেঞ্জের ধারেকাছে যেতে পারেনি।
৩০ ওভারে ম্যাচ জিততে চাই ২৪০ রান। এই টার্গেট পূরুণের জন্য আবশ্যিক চাহিদা ছিল বড় দুটি জুটি বা দুজন ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে বড় ইনিংস। এই দুইয়ের কোনটিই পুরো করতে পারেনি বাংলাদেশ সিরিজের প্রথম ম্যাচে। আট ব্যাটসম্যান নিয়ে একাদশ সাজালেও ইনিংসে কারো কোনো হাফসেঞ্চুরি পর্যন্ত নেই। ওপেনার এনামুল হকের ৩৯ বলে ৪৩ রানের ইনিংসটাই দলের সর্বোচ্চ হয়ে রইলো। মাঝে লিটন দাস, তৈাহিদ হৃদয় ও আফিফ হোসেন উইকেটে জমেও ইনিংসটা বড় করতে ব্যর্থ। বলের সঙ্গে রানের পার্থক্য শেষের দিকে এতোই বাড়ে যে ৩০ ওভারের অনেক আগেই এই ম্যাচে বাংলাদেশের হার নিশ্চিত হয়ে যায়।
৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০ এগিয়ে উদযাপন করলো নিউজিল্যান্ড। আর ফিরে আসার ইনিংসে আরেকবার শূন্য দিয়ে শুরু করলেন এই ম্যাচের ওপেনার সৌম্য সরকার।
টস জয়ী নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে যা করার করলেন মাত্র দুজন। ওপেনার উইল ইয়াং ও মিডল অর্ডারে অধিনায়ক টম ল্যাথাম। ইয়াং মাত্র ৮৪ বলে ১০৫ রানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তুলে নেন। ১৪ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় বাংলাদেশের বোলিং এক অর্থে উপভোগ করেন এই নিউজিল্যান্ডার। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। অধিনায়ক টম ল্যাথাম নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে আউট হন। ৩ ছক্কা ও ৯ বাউন্ডারিতে তার ৭৭ বলের ৯২ রানের ইনিংস নিউজিল্যান্ডকে বড় স্কোর এনে দেয়। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ইয়াং ও ল্যাথাম ১৪৫ বলে ১৭১ রানের বিশাল জুটি গড়েন। দলের ২৩৯ রানের মধ্যে ১৭১ রানই আসে তাদের জুটিতে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে মার্ক চ্যাপম্যানের সঙ্গে কিছুসময়ের জন্য ইয়াং টি- টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট চালান। এই জুটিতে মাত্র ২২ বলে ৫৪ রানের ঝড়ো একটা ক্যামিও পায় নিউজিল্যান্ড।
শুরুটা তেমন ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। বৃষ্টির কারণে খেলা শুরু হতেই দেরি হয়। ম্যাচের বয়সও কমিয়ে আনা হয়। বারকয়েক বৃষ্টি বাধায় পড়া শেষপর্যন্ত ম্যাচ কমিয়ে ৩০ ওভারে স্থির হয়। প্রথম পাওয়ার প্লেতে বেশির সামনে বাড়তে পারেনি নিউজিল্যান্ড। এই সময়ে তাদের সঞ্চয় ছিল ৩৫ রানে ২ উইকেট। কিন্তু তৃতীয় উইকেট জুটিই নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের চেহারা বদলে দেয়। মাঝের পাওয়ার প্লেতেও নরম ব্যাটিংই করে নিউজিল্যান্ড। এই সময়ে তারা কোনো উইকেট না হারিয়ে ১২৪ রান তুলে। শেষ পাওয়ার প্লে’তে নিউজিল্যান্ড পুরোদুস্তর টি-টেনের স্টাইলে ব্যাট চালায়। এই ছয় ওভারে তারা যোগ করে ৮০ রান!
শেষ ওভারে তিনটি রানআউট হলেও নিউজিল্যান্ড ম্যাচ জয়ের মতো ২৩৯ রানের বিশাল সঞ্চয় ঠিকই তুলে নেয়।
বৃষ্টিআইনে ৩০ ওভারে ম্যাচ জয়ের জন্য টার্গেট ২৪৫ রান। ওভার প্রতি চাই ৮ রান। ওয়ানডে ম্যাচে টি- টোয়েন্টির এই টার্গেট পুরো করতে পারেনি বাংলাদেশ।