ইতিহাস গড়া জয়ে এশিয়ার সেরা বাংলাদেশ
ইতিহাস!
বাংলাদেশের আজকের জয়টাকে বিশেষায়িত করতে এই একটা শব্দই তো যথেষ্ট। বছর তিনেক আগে বিশ্বসেরার তকমা পেয়েছিল বাংলাদেশ। অথচ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট বাংলাদেশের অধরাই থেকেছিল। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ১৯৫ রানে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ, প্রথমবারের মতো হয়েছে এশিয়ার সেরা।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল 'হার' দিয়ে। দিনের শুরুতেই টস হারতে হয়েছিল বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বিকে। হারের গল্প এটুকুই। এরপর শুধুই বিজয়গাঁথা। বাংলাদেশের পুরো এশিয়া কাপটাই যেমন বড়সড় এক বিজয়ের গল্প।
গত ৯ ডিসেম্বর আরব আমিরাতকে হারিয়েই শুরু হয়েছিল সে জয়যাত্রা। সেবার ৬১ রানে আমিরাতিদের হারিয়েছিল বাংলার যুবারা। ফাইনালে জয়ের ব্যবধান -- ১৯৫ রান। এটা যেন টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের দাপট কীভাবে বেড়েছে সেটারই একটা স্মারক হয়ে রইল।
তো দিনের একমাত্র 'হার' সে টসের পর আগে ব্যাটিং করতে হয় বাংলাদেশকে। এশিয়া কাপে বাংলাদেশের যুব দলে ব্যাট হাতে সবচেয়ে বড় নির্ভরতার নাম আশিকুর রহমান শিবলি এদিনও সমুজ্জ্বল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১১৬ রান করেছিলেন গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে , তার আগের দুই ম্যাচে পঞ্চাশোর্ধ্ব স্কোর। মাঝে সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে দুর্ভাগ্যজনক রানআউটে ৭ রানে থামতে হয়েছিল। তবে ফাইনালে তাকে থামায় কে! ১২৯ রানের ইনিংস খেলে একাই দলকে টেনে নিলেন বড় সংগ্রহের পথে।
চৌধুরী মোঃ রিজওয়ান (৬০) আর আরিফুল ইসলামের (৫০) ফিফটিতে সে সংগ্রহ ফুলেফেঁপে উঠেছে আরও। ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৮২ রান করে বাংলাদেশ সস্তি নিয়েই ইনিংস বিরতিতে যায়।
সে স্বস্তি টিকে থাকে আমিরাতের ব্যাটিং ইনিংসেও। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো আমিরাত জয়ের ন্যূনতম আশাও জাগাতে পারেনি। মারুফ-বর্ষণদের বোলিং তোপে গুটিয়ে গেছে ৮৭ রানে।
মারুফ এবং বর্ষণ সমান তিনটি করে উইকেট পেয়েছেন। দুই উইকেট করে গেছেন জীবন এবং ইমনের ঝুলিতে।