লুইস-বিলার্দো থেকে স্কালোনি, বিশ্বজয়ের গুরুরা
১৯৭৮ সালে সেসার লুইস। ১৯৮৬ সালে কার্লোস বিলার্দো। এরপর ২০২২ সালে লিওনেল স্কালোনি। এক কাতারে আর্জেন্টিনার তিন বিশ্বকাপজয়ী কোচ। বিশ্বকাপের স্মৃতি মনে করতে এই তিন নামের স্মরণ যেন একরকম বাধ্য। যেখানে স্কালোনির গল্পটা যেন কিছুটাই ভিন্নই।
২০১৪ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে হার, ২০১৫ সালে কোপার ফাইনালে হার। আলেহাদ্র সাবেলার পর দায়িত্ব এবার হোর্হে সাম্পাওলির। তবে সেখানে আরও বেশি ব্যর্থ আলবিসেলেস্তেরা। ২০১৮ বিশ্বকাপে ফ্রান্সের কাছে ৪-৩ ব্যবধানে হেরে শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিয়েছিল লিওনেল মেসির দল।
সেই বছরেই আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলে আগমন স্কালোনির।
২০১৫ সালে পেশাদার ফুটবল থেকে অবসর নেন স্কালোনি। পরেই বছরের যাত্রা শুরু হয় ম্যানেজেরিয়াল ক্যারিয়ারের। স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়ায়। সেখানে তিনি সহকারী কোচ হিসেবে ছিলেন হোর্হে সাম্পাওলির।
২০১৭ তে যখন সাম্পাওলি আর্জেন্টিনায জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পান, স্কালোনিও যোগ দেন তার সঙ্গে। ছিলেন ফেডারেশনের যুব দলের দায়িত্বে।
২০১৮ সালে দলের হতাশাজনক পারফর্মের পর সাম্পাওলিকে ছাটাই করে আর্জেন্টিনা। এবং আগস্টে দায়িত্ব পান অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে। নতুন কোচ না পাওয়া পর্যন্ত তাকে দায়িত্বে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড। তখন কে ই বা ভেবেছিল তার অধীনেই শেষ হতে চলেছে ৩৬ বছরের অপেক্ষার।
২০১৯ সালে কোপা না জিতলেও দলের পারফর্ম বিচারে স্কালোনিকেই বহাল রাখে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। সেই ভরসার দাম দেওয়ার শুরু ২০২১ থেকে। বাকিটা সবারই জানা। ২০২১ কোপা শিরোপা, ২০২২ ফিনালিসিমা এরপর বিশ্বকাপ। দলকে এক করে, তরুণ নির্ভর স্কোয়াড নিয়ে, কেবলই জয়ের ক্ষুধার জেদ নিয়েই এগিয়েছেন স্কালোনি। যেখানে ভাগ্য ও ফলাফল দুটিই ছিল নিজেদের দিকে। যা ফুটবল পায়ে করতে পারেননি তা করে দেখালেন বাইলাইনের বাইরে দাঁড়িয়ে। এই প্রাপ্য টুকুও বা কয়জনের হয়?