অধরা জয়ের খোঁজে বাংলাদেশ
২০০৭ থেকে শুরু। ২০২৩ও চলে যাচ্ছে। এ সময় নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ খেলেছে ১৭টি ওয়ানডে। হেরেছে সবকটিতেই। এই সিরিজ শুরু আগে সংখ্যাটা ছিল ১৬। এরপরও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছিলেন ম্যাচ নয়, রীতিমতো সিরিজ জেতার প্রত্যয়!
প্রথম ম্যাচ হারের পর যে আশা এখন হুমকির মুখে। সিরিজে টিকে থাকতে হলে জয় প্রয়োজন। ঠিক হলো বলে মনে হচ্ছে না। ‘ইতিহাস’ গড়তে হবে বললেই বোধ হয় ঠিক শোনায়। যে দেশে এখনো ওয়ানডে জেতা হয়নি, সেখানে ওয়ানডে জিতলেই তো ইতিহাস গড়া হয়ে যাবে!
ডানেডিনে সুযোগ এসেছিল অবশ্য। বৃষ্টিবিঘ্নিত সে ম্যাচে ৩০ ওভারে বাংলাদেশের সামনে পড়েছিল ২৪৫ রানের লক্ষ্য। ভালো একটা শুরু পেয়েও গিয়েছিল দল, কিন্তু দলের সবাই যেন এলেন, থিতু হলেন, গেলেন… এমন হলে আর যাই হোক ওভারপ্রতি আটের ওপর রান তাড়া করে জেতা যায় না।
ডানেডিনের হাত ফসকে যাওয়া সে সুযোগের পর এবার বাংলাদেশ চলে গেছে নেলসনে। সেখানে হবে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। নেলসনে বাংলাদেশ আগেও খেলেছে। আগের সঙ্গে এবারের উইকেটের পার্থক্যটা খুব বেশি দেখছেন না কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তার কথা, ‘উইকেটটা দেখে খুব ভালো মনে হচ্ছে। শেষ বার, ২০১৭ সালে আর ২০১৫ বিশ্বকাপে আমরা যখন এখানে এসে খেলেছি, তখন উইকেটটা খুবই ভালো ছিল। এখানকার আউটফিল্ডও বেশ দ্রুতগতির। সব মিলিয়ে আমি একটা হাইস্কোরিং ম্যাচ আশা করছি।’
নিখাদ ব্যাটিং উইকেট। এখানে হাই স্কোরিং ম্যাচের প্রত্যাশা কোচের। কিন্তু যারা ‘হাই স্কোর’ তুলবেন, তাদেরই তো ব্যাট হাতে ফর্ম নেই! একেবারে ফর্ম নেই, তা বলা চলে না, আগের ম্যাচেই তো ভালো সূচনা পেয়েছিলেন এনামুল হক বিজয়, থেকে শুরু করে মেহেদী হাসান মিরাজ পর্যন্ত প্রায় সবাই। কিন্তু বড় কিছুতে রূপ দেওয়া হয়নি। সেখানে বদল এলেই তো কেল্লাফতে!
কোচ হাথুরু বললেন, ‘আমরা বড় রান পাচ্ছি না। আমাদের লক্ষ্যটা হচ্ছে, যারা ভালো শুরু পাচ্ছে, তাদের এক দুজনকে বড় রান করতে হবে।’ এরপরই অবশ্য বললেন, ‘একটা বড় চিন্তার বিষয়। যদি আপনার কাছে এর কোনো উত্তর থাকে, তাহলে আমাকে জানাবেন, আমি তাদের গিয়ে বলব। এটা অনেক বড় একটা ভাবনার বিষয়।’
সমাধান অতি অবশ্যই আছে। তা হচ্ছে সময় বুঝে সোজা ব্যাটে খেলা, নিজের উইকেটের গুরুত্ব বোঝা। আগের ম্যাচে অধিনায়ক শান্ত আর মুশফিকুর রহিমের দুজনই বিদায় নিয়েছিলেন রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে। বড় ইনিংস খেলতে হলে বাধ দিতে হবে সেসব কিছুতে। বড় রান চলে এলে বোলারদের কাজও সহজ হয়ে যায় অনেকটাই। আর সেটা হলে জয়টাও যে অসম্ভব কিছু থাকে না আর!