ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ইংলিশদের হারাল উইন্ডিজ
সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে খেলা হয়নি। ওয়ানডে বিশ্বকাপে তো উত্তীর্ণই হতে পারেনি। দুটো ফরম্যাটেই সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য বিষয়টা বেশ অস্বস্তিকর। তবে অতীত ভুলে সামনে তাকানোর সময় এখন তাদের। সে পথে দারুণ একটা পদক্ষেপই নিল ক্যারিবীয়রা।
ওয়ানডে সিরিজের পর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের সিরিজেও তারা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারাল। সবশেষ টি-টোয়েন্টিতে স্নায়ুক্ষয়ী লড়াইয়ের শেষে ৪ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে পেয়ে গেছে ৩-২ ব্যবধানের দারুণ এক সিরিজ জয়।
ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে এই ম্যাচে বোলারদের কল্যাণে শুরুর কাজটা ভালোভাবেই সেরে রেখেছিল উইন্ডিজ। ইংলিশদের বেধে রেখেছিল ১৩২ রানে। যা তাড়া করতে নেমে নিজেরাও খুব একটা স্বস্তিতে ছিল না কখনোই। তবে এক পাশ আগলে রেখে দলকে লড়াইয়ে টিকিয়ে রেখেছিলেন শেই হোপ। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা মেরে তিনিই নিশ্চিত করেছেন ম্যাচ আর সিরিজ জয়টা।
এর ফলে চলতি বছর টানা তৃতীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল উইন্ডিজ। আগামী বছর জুনে নিজেদের মাটিতেই হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা। দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারতের পর এবার ইংলিশদের বিপক্ষে পাওয়া এমন সিরিজ জয়ে সে বিশ্বকাপের প্রস্তুতির শুরুটা ভালোভাবেই করল ক্যারিবীয়রা।
আগের টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ড রেকর্ড গড়েছিল ২৬৭ রান তুলে, ফিল সল্ট করেছিলেন সেঞ্চুরি। তবে শেষ ম্যাচে তাদের তা করতে দেয়নি উইন্ডিজ। যদিও ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামের মন্থর উইকেটও এতে প্রভাব রেখেছে বেশ। দুই স্পিনার আকিল হোসেইন আর গুদাকেশ মোটি মিলে ৮ ওভারে ৪৪ রান খরচায় শিকার করেছেন ৫ উইকেট। ইংলিশরা তো পিছিয়ে গেছে মূলত এখানেই।
যদিও শুরুটা করেছিলেন পেসার জেসন হোল্ডার। ১১ রান করা বাটলারকে ফেরান তিনি। উইল জ্যাকস ফেরেন আকিলের বলে উইকেট খুইয়ে। টানা দুই সেঞ্চুরি নিয়ে হ্যাটট্রিকের খোঁজে থাকা ফিল সল্টকে ফিরিয়ে ইংলিশদের দুর্দশার শুরুটা করেন মোটি। এরপর তিনি ফেরান উইন্ডিজকে শঙ্কায় রাখা লিয়াম লিভিংস্টোনকে। তার মাঝে আরেক ডেঞ্জারম্যান হ্যারি ব্রুককেও শিকার করেন। মইন আলীকে সাজঘরের পথ দেখান আকিল।
টপ অর্ডারের পর ইংলিশদের মিডল অর্ডারকেও বাগে আনেন দুই স্পিনার, বাকি কাজটা দুই পেসার আন্দ্রে রাসেল আর ভালোভাবেই সামলান। ১৩২ রান তুলতেই ইনিংস শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের।
শুরুর দুই ওভারে ২০ রান তুলে উইন্ডিজ শুরুটা করেছিল বেশ ভালো। তবে রিস টপলি প্রথমে ব্রেন্ডন কিংকে আর ক্রিস ওকস এরপর নিকলাস পুরানকে টানা দুই ওভারে ফেরালে আশা দেখতে শুরু করে ইংলিশরা।
তবে এরপরই শুরু হোপের লড়াইয়ের। শুরুতে জনসন চার্লসের সঙ্গে, এরপর শেরফানে রাদারফোর্ডের সঙ্গে মিলে গড়েন জুটি। তাতে উইন্ডিজ ফেরে জয়ের পথে।
তবে দুই সঙ্গীই থিতু হওয়ার পর উইকেট খুইয়েছেন। ১৫তম ওভারে রাদারফোর্ড ফিরলেন, তার এক ওভার পর রভম্যান পাওয়েলও। তবে জয়টা বুঝি হাতছাড়া হয়েই যাচ্ছে উইন্ডিজের, এমনটা মনে হয় স্যাম কারানের করা ১৯তম ওভার শেষে। দুই ওভারে ১১ প্রয়োজন ছিল স্বাগতিকদের। কারান সে ওভারে দেন দুই রান, তুলে নেন আন্দ্রে রাসেলের উইকেট। তাতে পাল্লাটা হেলে যায় সফরকারীদের দিকে। যদিও শেষ ওভারের প্রথম বলে তিন আর দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে উইন্ডিজই।