কেন আইসিসির শাস্তি, বুঝতেই পারছেন না খাজা
উসমান খাজা যা করছেন, তাই যেন ভুল। জুতোয় বার্তা লিখেছিলেন ফিলিস্তিনের পক্ষে। বিষয়টি আইসিসির নজরে আসায় তাদের পরামর্শে লেখাটি ঢেকে দেন। এরপর হাতে কালো বাহুবন্ধনী পরে নেমেছিলেন খেলতে। সে বিষয়ে শুরুতে জানিয়েওছিলেন আইসিসিকে। এর আগেও অনেকে এমন কিছু করেছে। তবে শাস্তির মুখে পড়েনি। এবার তাকে পড়তে হচ্ছে শাস্তির মুখে! সে কারণে এবার তিনি মুখ খুলেছেন। জানালেন, কেন এমন কিছু হচ্ছে, তা বুঝতেই পারছেন না তিনি!
পার্থ টেস্টের অনুশীলনে প্রথম আলোচনায় আসেন খাজা। সেখানে তিনি তার দুই জুতোয় লিখে গিয়েছিলেন ‘স্বাধীনতা মানুষের অধিকার’ আর ‘প্রত্যেকের জীবনের মূল্যই সমান’। আইসিসি থেকে তখন জানানো হয় তাকে, এই স্লোগান নিয়ে মাঠে নামলে শাস্তির মুখে পড়তে পারেন তিনি।
তবে সে টেস্টে এরপর তিনি নামেন কালো বাহুবন্ধনি পরে। সেটা আইসিসি অনুমোদন দেয়নি বলে নিয়ম লঙ্ঘনের কারণে তিরস্কৃত করা হয় তাকে। মেলবোর্নে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এক অনুষ্ঠানে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জুতোয় যা লিখেছি আমি, বেশ কিছু দিন ধরেই আমি তা ভাবছি। আমি ওখানে শুধু মানবতার কথা বলেছি, ধর্মকে টানিনি। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তো ওটাই! আমি এটা করেছি, কারণ এটা আমাকে আঘাত করেই চলেছে। আজ সকালেই নিককে (ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী নিক হকলি) বলছিলাম, ইনস্টাগ্রামে ঢুকলেই দেখছি নিরীহ শিশুদের মৃত্যুর ভিডিও। এটা আমাকে বেশ কষ্ট দেয়।’
বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েন খাজা, ‘এসব দেখলে আমার ছোট মেয়েটার কথা মনে পড়ে। এটা নিয়ে কথা বলতে গিয়েও আবেগি হয়ে পড়ছি। আমার বলার কারণ এটাই। কোনো গোপন অ্যাজেন্ডা নেই। এতে আমার কোনো লাভ নেই। শুধু মনে হচ্ছে, এটা আমার দায়িত্ব।’
এ বিষয়ে আইসিসিকে জানিয়েওছেন খাজা। এরপরও ভর্ৎসনার মুখে পড়ে যাচ্ছেন তিনি। বিষয়টি তাকে হতভম্ব করেছে। তার কথা, ‘দ্বিতীয় দিনেই আইসিসিকে আমি বলেছি, এটা ব্যক্তিগত শোকের জন্য। জুতোর বিষয়টি আলাদা ছিল। কিন্তু বাহুবন্ধনির বিষয়টি আমি বুঝতেই পারছি না। আমি নিয়ম মেনেই সব করেছি। অতীতেও তো খেলোয়াড়রা এমন করেছে, তাদের তো কিছু করা হয়নি! আমাকে কেন করা হচ্ছে? আমার মনে হয়, এক্ষেত্রে আইসিসি ধারাবাহিকতাটা ধরে রাখেনি।’
তবে খাজা জানিয়েছেন, পরের টেস্টে তিনি আর কালো বাহুবন্ধনী পড়ে মাঠে নামবেন না।