হোয়াইটওয়াশ এড়াতে ‘টিম পারফর্ম্যান্স’ চান শান্ত
সিরিজটা জেতার প্রত্যয় জানিয়েছিলেন। কিন্তু টানা দুই ম্যাচ হারে সিরিজ তো গেছেই, এবার দলের সামনে রীতিমতো হোয়াইটওয়াশের শঙ্কাও।
সিরিজটা গচ্চা গেছে, এবার দলের নামের পাশে ৩-০ ব্যবধানে হারের কালিমা লাগুক, এমনটা নিশ্চিতভাবেই চাইবেন না কোনো অধিনায়ক। নাজমুল হোসেন শান্তও চাইছেন না। তবে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে কী করা প্রয়োজন, তার একটা টোটকা দলকে বাতলে দিলেন কী সেটা? অধিনায়কের চাওয়া, দল খেলুক একটা দল হয়ে, দুই একটা বিচ্ছিন্ন পারফর্ম্যান্সে তৃপ্ত নন তিনি।
নিউজিল্যান্ড সফরে প্রস্তুতি ম্যাচ সহ এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। তিনটি ম্যাচেই একটা বিষয় দেখা গেছে, আর সেটা হলো ওয়ান ম্যান শো। প্রস্তুতি ম্যাচে রিশাদ হোসেনের ঝড়, প্রথম ওয়ানডেতে শরিফুল ইসলামের বোলিং আর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সৌম্য সরকারের রেকর্ড গড়া ১৬৯… এই ছিল দলের উল্লেখযোগ্য পারফর্ম্যান্স। এর বাইরে দলের বাকি সবাইকে মোটাদাগে পাসমার্ক দেওয়া যায় না মোটও।
তাই অধিনায়কের চাওয়া, এমন বিচ্ছিন্ন পারফর্ম্যান্স নয়, পুরো দল পারফর্ম করুক এক হয়ে। তার কথা, ‘একটা দল হয়ে পারফর্ম করতে হবে আমাদের। কিছু ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্স আমরা দেখেছি। ক্লিন্তু দলের কাছ থেকে আমাদের আরও বেশি কিছু প্রয়োজন। আরও বেশি পার্টনারশিপ দরকার।’
প্রস্তুতি ম্যাচ, এরপর সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ, এই তিন ম্যাচেই বাংলাদেশ একটা জায়গায় ধুকেছে নিয়মিত। আর সেটা হলো বড় জুটি না পাওয়া। এই তিন ম্যাচে সেঞ্চুরি জুটি বাংলাদেশ পেয়েছে একটা, তাও ওই প্রস্তুতি ম্যাচে, জুটিটাও মাত্র ১০১ রানের। আর মূল দুই ম্যাচে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটিটা ৯১ রানের। পঞ্চাশের ওপর জুটি আছে মোটে ৩টা।
সৌম্য সরকার ১৬৯ রানের ইনিংস খেলেও ওপাশে সঙ্গী পাননি। দলের রানটা ২৯২ রানে থেমে গেছে। সেটা সৌম্য ম্যাচ শেষে জানিয়েওছিলেন। এবার শান্তও জানালেন, উন্নতিটা চান ওখানেই।
সেটা যদি হয়েই যায়, তাহলে দলের সামর্থ্য আছে নিউজিল্যান্ডকে হারানোর, বিশ্বাস শান্তর। তার কথা, ‘আমি এখনো বিশ্বাস করি আমাদের প্রতিপক্ষকে হারানোর মতো সক্ষমতা আছে। আমি প্রতি ম্যাচকেই একটা সুযোগ হিসেবে দেখি। আমি বিশ্বাস করি আমরা ইতিহাস গড়তে পারব।’