বিশ্ব মাতাতে আসছে উগান্ডা
উগান্ডা- এই নামটা সাধারণত মজার ছলে কিংবা ট্রল করার সময় ব্যবহার করা হয়। দেশটাকে সেভাবে পাত্তা না দিয়ে এক প্রকার বিদ্রূপ অর্থেই এমনটা করা। ভাবুন তো, কেমন হবে? যদি কখনো দেখেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল খেলছে উগান্ডার বিপক্ষে, তাও আবার বিশ্বমঞ্চে! আপনি ভুল শুনেননি। এমনটা হলেও হতে পারে। তাও আবার খুব বেশি দেরী নয়।
যারা জানেন না তাদের জানিয়ে রাখা, আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখা যাবে আফ্রিকান এই দেশটাকে। তাও আবার জিম্বাবুয়ের মতো টেস্ট প্লেয়িং নেশন কিংবা কেনিয়ার মতো সাবেক বিশ্বকাপ সেমিফাইনালিস্টদের হটিয়ে। হটিয়ে না বলে দাপটের সাথে হারিয়ে বললেও ভুল হবে না।
তবে সেখানে ১৯৫০ এর দশকের শুরু থেকেই যাত্রা শুরু হয়েছিল তাদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের। স্কুল ক্রিকেট কিংবা নিজেদের মধ্যে ম্যাচই উগান্ডার ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় অংশ ছিল। আসতে শুরু হয়েছে পরিবর্তন। তাও আবার বড়সড় আকারেই।
সবমিলিয়ে এই দলটাকে এই মুহূর্তে টী-টোয়েন্টিতে আফ্রিকার ক্রিকেটের ২য় কিংবা ৩য় সেরা বললেও ভুল হবে না। সবশেষ বিশ টি-টোয়েন্টিতে দলটা জিতেছে ১৮ টাতেই। দিনের পর ট্রল করে গেলেও অনেকেই সেভাবে নজরই রাখেননি উগান্ডার ক্রিকেটের। তারাও রূপকথা লিখে তবেই সবাইকে দেখিয়ে দিয়েছে, তারা এতোটাও পিছিয়ে পড়া নয়।
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে যাওয়া দলটার টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে এখন অবস্থান ২২-শে। বিশ্বকাপে তারা প্রথমে খেলবে গ্রুপ পর্বে। প্রতি গ্রুপে পাঁচ দল করে মোট চারটা গ্রুপ। প্রতি গ্রুপের সেরা দুই দল করে আট দল নিয়ে পরের পর্ব, অর্থাৎ সুপার এইট। যেখানে প্রতিটা দল একে অপরের মুখোমুখি হবে রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে। অর্থাৎ একই গ্রুপে পড়লে কিংবা নক আউট স্টেজে নিশ্চয়ই সম্ভাবনা থাকছে টাইগারদের উগান্ডার মুখোমুখি হওয়ার।
যদিও এর আগে উগান্ডার বিপক্ষে ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে চারজাতির একটা টুর্নামেন্টে মুখোমুখি হয়েছিলো বাংলাদেশ। তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এতো ছড়াছড়ি কিংবা উগান্ডাকে নিয়ে এতোটাও হাইপ কিংবা ট্রল-বিদ্রূপ ছিলো না। তবে দেশটা সাউথ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে, কেনিয়া, নামিবিয়ার অগোচরেও নিজেদের কাজটা করে গেছে ঠিকঠাক।