ঐতিহাসিক জয়ের সকালে বাংলাদেশের যত রেকর্ড

ঐতিহাসিক জয়ের সকালে বাংলাদেশের যত রেকর্ড

পরপর ১৮টি ওয়ানডে ম্যাচে হারের মুখ দেখার পর কিউইদের বিপক্ষে তাদেরই মাঠে দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। নেপিয়ারে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারলেও শেষ ম্যাচের এই জয় দিয়ে শান্তরা প্রমাণ করেছেন যে, দেশের বাইরের মাঠেও চাইলে জয় ছিনিয়ে আনা সম্ভব।

এই ম্যাচে টাইগারদের জয় ছাড়াও দেখা মিলেছে বেশ কিছু রেকর্ডের। চলুন সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-


দ্বিতীয়বার অলআউট

ঘরের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয়বার কোনো ইনিংসে অলআউট হলো নিউজিল্যান্ড। এর আগে ২০১৬ সালে নেলসনে ২৫১ রানে অলআউট হয়েছিল স্বাগতিকরা, তবে ম্যাচটি জিতেছিল ৬৭ রানে।

কিউইদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ

বাংলাদেশের বিপক্ষে কিউইদের সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর এটি। এর আগে ২০১৩ সালে মিরপুরে ১৬২ রানে অলআউট হয়েছিল নিউজিল্যান্ড।

১০০ এর নিচে অলআউট

ওয়ানডে ম্যাচে বিপক্ষ দলকে তৃতীয়বারের মতো ১০০-এর নিচেই আটকে দিল বাংলাদেশ। আগের দুটি ঘটনা ছিল ২০০৯ (জিম্বাবুয়ে, চট্টগ্রাম) ও ২০১১ সালে (ওয়েস্ট ইন্ডিজ, চট্টগ্রাম)।

পেসাররাই নিলেন ইনিংসের সব উইকেট

দ্বিতীয়বার কোনো ওয়ানডেতে ১০টি উইকেটই তুলে নিলেন বাংলাদেশের পেসাররা। আজকের ম্যাচে তানজিম হাসান, শরীফুল ইসলাম ও সৌম্য সরকার নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট, মোস্তাফিজুর রহমান নিয়েছেন একটি।। এর আগের ঘটনাটি ছিল এ বছরেরই মার্চে, সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। সেবার বাংলাদেশের হয়ে ১০টি উইকেট শিকার করেছিলেন হাসান মাহমুদ (৫), তাসকিন আহমেদ (৩) ও ইবাদত হোসেন (২)।

শরীফুলের ফিফটি

১৪তম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ৫০ উইকেট নিলেন শরীফুল ইসলাম। এ ক্ষেত্রে তিনি তৃতীয় দ্রুততম কারণ তার লেগেছে ৩৩ ম্যাচ। ২৭ ম্যাচে ৫০ উইকেট নেওয়ার বাংলাদেশের রেকর্ডটি মোস্তাফিজুর রহমানের।

শান্তর ৯৯২

আজ ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, তবে ৮ রানের আক্ষেপ থেকে গেল তাঁর। ২০২৩ সালে মোট ৯৯২ রান করেছেন তিনি। শাহরিয়ার নাফীস ২০০৬ সালে বাংলাদেশি হিসেবে এক পঞ্জিকাবর্ষে ১ হাজার রানের রেকর্ড করেছিলেন।

এক পঞ্জিকাবর্ষে ১০০০

নিউজিল্যান্ডের ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে এক পঞ্জিকাবর্ষে ১ হাজার রান পূর্ণ করেছেন উইল ইয়ং। তাঁর আগে কিউইদের হয়ে এক বছরে ১ হাজার রানের কীর্তি আছে—রজার টুজ (২০০০), মার্টিন গাপটিল, রস টেলর ও কেইন উইলিয়ামসন (২০১৫) ও ড্যারিল মিচেলের (২০২৩)।

সম্পর্কিত খবর