বল-ব্যাটে ওয়ানডেতে শান্ত-তাসকিনদের ২০২৩

বল-ব্যাটে ওয়ানডেতে শান্ত-তাসকিনদের ২০২৩

ঘটনাবহুল এক বছর কাটল বাংলাদেশের। ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং তার সূত্র ধরে এশিয়া কাপও ওয়ানডে ফরম্যাটে হওয়ায় বছরটি মূলত একদিনের ক্রিকেটেরই। যেখানে শেষার্ধটা হতাশার কাটলেও জয় দিয়েই ওয়ানডের ২০২৩ সালকে বিদায় জানিয়েছে বাংলাদেশ।

সাকিবদের বছরটা শুরু হয়েছিল হার দিয়েই, ১ মার্চ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ঘরের মাটিতেই। তবে শান্তর হাত ধরে জয় দিয়ে বছর শেষ হলো সাত হাজার মাইল দূরে, নেপিয়ারে। গতকাল (শনিবার) কিউইদের মাটিতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৯ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। কিউইদের মাটিতেই এই প্রথম জয় দিয়েই চলতি বছরের শেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলল শান্ত-সৌম্যরা।

ওয়ানডে বিশ্বকাপ থাকায় এ বছর ওয়ানডে ম্যাচের সংখ্যা ছিল বেশির কাতারে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে চলতি বছরে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩২টি একদিনের ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৩৫টি ম্যাচ খেলেছে ভারত এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩টি ম্যাচ খেলেছে নিউজিল্যান্ড।

৩২ ম্যাচের কেবল ১১টিতে জয়ের দেখা পেয়েছে শান্ত-সাকিবরা। হেরেছে ১৮ ম্যাচে এবং তিনটি ম্যাচ ছিল ফলহীন।

ব্যাট হাতে চলতি বছরে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে সফল নাজমুল হোসেন শান্ত। ২৭টি ওয়ানডে ম্যাচে ২৬টিতে ব্যাট করেন ৯৯২ রান। যেখানে ৪১ দশমিক ৩৩ গড় এবং ৮৫-এর ওপরে স্ট্রাইক রেটে করেছেন দুটি সেঞ্চুরি ও ছয়টি ফিফটির ইনিংস।

বাংলাদেশিদের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন মুশফিকুর রহিম। ২৯ ম্যাচে ৩৬ দশমিক ৭৮ গড় এবং ৮৬ দশমিক ৫৯ স্ট্রাইক রেটে তুলেছেন ৮৪৬ রান। যেখানে ছয়টি ফিফটিসহ আছে একটি সেঞ্চুরির ইনিংস। তৃতীয় অবস্থানটি সাকিব আল হাসানের। চলতি বছরে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন তিনি। ৯০ ছুঁইছুঁই স্ট্রাইক রেট ও ৩৫ ব্যাটিং করে ২৩ ম্যাচে এই বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডারের করেছেন ৭৩৫ রান। যেখানে কোনো সেঞ্চুরির দেখা না পেলেও হাঁকিয়েছেন ছয়টি ফিফটি।

চলতি বছরেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে আগমন তাওহীদ হৃদয়ের। ব্যাট হাতে শুরুর বছরটাকে মন্দের ভালো বলাই যায়। চতুর্থ অবস্থানে থাকা ডানহাতি এই ব্যাটার ২৭ ম্যাচে করেছেন ৭২৭ রান। ৩৪ দশমিক ৬১ ব্যাটিং গড় এবং ৮৫-এর ওপর স্ট্রাইক রেটে পেয়েছেন ছয়টি ফিফটির দেখা।

অন্যদিকে নামের ঠিক সুবিচার করতে পারেননি লিটন দাস। গতবছর বাংলাদেশের হয়ে ১৩ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৭৭ রান করছিলেন তিনি। এবার জায়গা মিলল পঞ্চম অবস্থানে। ২৯ ম্যাচে কোনো সেঞ্চুরির দেখা না পাওয়া এই ডানহাতি ব্যাটারের রান ৬৫১। তবে ফিফটির দেখা পেয়েছেন পাঁচবার। গড় ছিল ২৬ এবং স্ট্রাইক রেট ৮৪ দশমিক ৪৩।

এদিকে বল হাতে সেরা শরীফুল ইসলাম। ১৯ ম্যাচে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩২ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। ১৮ ম্যাচে ২৬ উইকেট নিয়ে দুইয়ে আছেন তাসকিন আহমেদ।

ব্যাটারদের পর বোলারদের তালিকাতেও তিনে আছেন সাকিব। ২৩ ম্যাচে বল করেছেন ২০টিতে, যেখানে উইকেট ২৩টি। চারে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজ ২৭ ম্যাচে নিয়েছেন ২৩ উইকেট। ১৬ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়ে তালিকার পাঁচে আছেন পেসার হাসান মাহমুদ।

সম্পর্কিত খবর