খাজার ‘শান্তির বার্তা’ প্রচারে আইসিসির বাধা
ফিলিস্তিনে চলছে ইসরায়েলি বর্বরতা। মুহুর্মুহু শব্দে কেঁপে উঠছে সমগ্র গাজা। হুড়মুড়িয়ে তাসের ঘরের মতো ধ্বসে পড়ছে বিশাল বিশাল সব অট্টালিকা। যার নিচে চাপা পড়ছে শত শত মানুষ। হাজারো স্বপ্ন। সেই বর্বরতা থেকে বাদ পড়ছে না পবিত্রতার প্রতীক শিশুরাও। তাদের আহাজারিতে ভারি হচ্ছে গাজার বাসায়। যেই শব্দ নাড়িয়ে দিচ্ছে গোটা মানবজাতিকেই। অথচ দেখুন; তাদের সমর্থনে পাশে দাঁড়ানোরও সুযোগটা পর্যন্ত পাচ্ছেন না অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার উসমান খাজা।
পার্থ টেস্টের আগের দিন গাজাকে সমর্থন দিয়ে অনুশীলনে মানবতার কথা জুতোয় লিখেছিলেন খাজা। বর্বরতাকে সমর্থন দেওয়াদের মনে করিয়ে দিতে চেয়েছিলেন ‘স্বাধীনতা একটি মানবাধিকার’ সেই সাথে ‘সকল জীবন সমান’। চেয়েছিলেন তার এই কথা নাড়িয়ে দিক গোটা পৃথিবীকে। গাজার সমর্থনে জোয়ার উঠুক বিশ্ব মিডিয়ায়।
কিন্তু হয়েছে তার উল্টো। এমন লেখা নজরে পড়তেই সেই জুতা না পরে মাঠে নামার হুকুম করা হয় তাকে। ক্যারিয়ার বাঁচাতে বাধ্য হয়ে খাজা তা মেনেও নেন বটে; তবে ঠিকই কৌশলে কালো বেজ পরে মাঠে নেমে তার সেই মানবতার বাণী পৌঁছে দেন সর্বত্র।
ক্রিকেটের আঁতুড় ঘর মেলবোর্নে সেই বাণী আরও একবার ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন খাজা। চেয়েছিলেন আইসিসির অনুমতিও। আর সেটা করতে চেয়েছিলেন ভিন্ন এক কৌশল অবলম্বন করে। বক্সিং ডে টেস্টের আগের দিন অনুশীলনে শান্তির প্রতীক কবুতরের একটি স্টিকার লাগিয়েছিলেন জুতোয়। সেই সঙ্গে ০১: UDHR লিখে সবাইকে কৌশলে মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন Universal Declaration of Human Rights এর আর্টিকেল ওয়ান এর কথা।
যেখানে স্পষ্ট করে বলা আছে, ‘সকল মানুষ স্বাধীনভাবে জন্মগ্রহণ করে এবং তাদের মর্যাদা ও অধিকার সমান। তারা যুক্তি এবং বিবেক দ্বারা পরিচালিত হয়। কাজেই তাদের উচিত ভ্রাতৃত্বের মনোভাব নিয়ে একে অপরের প্রতি আচরণ করা।’ এবারও তার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আইসিসি। জানিয়ে দিয়েছে এমন কোনো প্রতীক নিয়েও মাঠে নামতে পারবে না সে।
আইসিসির একের পর এক বাধা সত্ত্বেও অবশ্য দমে যাচ্ছে না খাজা। লক্ষ্যে অবিচল থেকে উপযুক্ত বার্তা দিতে দ্বিতীয় টেস্টের আগে একাধিকবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সাথেও বৈঠক সেরেছেন খাজা। এখন দেখার অপেক্ষা বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিনে ঠিক কি করেন এই অজি ওপেনার।